নয়া দিল্লি : দাবি পূরণ না হলে এশিয়ান গেমস (Asian Games) বয়কট করা হবে। এবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা। ২০১৬-র অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগির সাক্ষী মালিক (Wrestler Sakshee Malikkh) স্পষ্ট ভাষায় আজ বলেন, "যখন সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে তখনই আমরা এশিয়ান গেমসে যোগ দেব। প্রত্যেক দিন আমরা কী মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি তা আপনারা বুঝতে পারবেন না।"


 






আজ হরিয়ানার সোনিপতে মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়। সেখানে সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা যোগ দেন। খাপ নেতাদের সঙ্গে মহাপঞ্চায়েতে আলোচনা হয়। পুনিয়া বলেন, "আজ মহাপঞ্চায়েতে খাপ নেতাদের কাছে সরকারের সঙ্গে কুস্তিগিরদের কী আলোচনা হয়েছে তা জানাবেন।"


এদিকে কুস্তিগিরদের মধ্যে আন্দোলন নিয়ে অনৈক্য দেখা দিয়েছে বলে একাংশের তরফে রটনা শুরু হয়েছে। এপ্রসঙ্গে আজ সাক্ষী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, "আমি একটা বিষয় পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই, আমি, বজরং ও ভিনেশ(ফোগত) একসঙ্গে আছি এবং একসঙ্গেই থাকব।"


বুধবার প্রায় পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের কাছে একটি লিখিত প্রস্তাব দেন। তাতে নিশ্চিত করা হয়, কুস্তি ফেডারেশনের প্রধানের বিষয়ে তদন্ত হবে জুনের ১৫ তারিখের মধ্যে। তবে, তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে সাক্ষী বলেন, "১৫ জুনের পর আমরা স্থির করব, কোথা থেকে আবার প্রতিবাদ শুরু করা যায়।"


দুই মাসের বেশি সময় ধরে দিল্লিতে প্রতিবাদ করছেন কুস্তিগিররা। তাঁরা কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের অপসারণ এবং গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন। ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন কুস্তিগিররা। এই পরিস্থিতিতে তদন্তের অঙ্গ হিসাবে দিল্লি পুলিশ গত শুক্রবার এক মহিলা কুস্তিগিরকে ব্রিজ ভূষণের অফিসে নিয়ে যায়। ওই কুস্তিগিরকে সঙ্গ দেন মহিলা পুলিশ অফিসারদের একটি দল। তাঁরা দুপুর দেড়টা নাগাদ ফেডারেশনের অফিসে পৌঁছন এবং সেখানে প্রায় আধ ঘণ্টা কাটান।  এই সময়ের মধ্যে ওই কুস্তিগিরকে বলা হয়, হেনস্থার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেই ঘটনার পুনর্গঠন করতে। 


এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর একটি ট্যুইট করেন আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের অন্যতম ভিনেশ ফোগত। তিনি একটি মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন। যেখানে দাবি করা হয়, আপোশ করার জন্য কুস্তিগিররা ফেডারেশনের অফিসে পৌঁছেছেন।