ইউহান: করোনা চিকিৎসা করতে নেমে নিজেরাই আক্রান্ত হন। এবার করোনা ভরকেন্দ্র চিনের ইউহানের দুই চিকিৎসক দেখেন, তাঁদের ত্বক পুড়ে যাওয়ার মত কালো হয়ে গিয়েছে। করোনায় মৃত্যু হয়নি ঠিকই কিন্তু পাল্টে গিয়েছে চেহারা।

২ চিকিৎসকের নাম ই ফ্যান ও হু ইফেং, দুজনের বয়সই ৪২। এঁরা ছিলেন করোনার কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনা প্রয়াত চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াংয়ের সহকর্মী। করোনার কথা প্রকাশ্যে আনায় লিকে শাস্তি পেতে হয় বলে অভিযোগ, করোনাতেই ৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তাঁর। জানুয়ারিতে ইউহান সেন্ট্রাল হসপিটালে চিকিৎসার সময় গুরুতর আক্রান্ত হন এই ২ চিকিৎসক। ই ফ্যানের অবস্থা এতটাই গুরুতর হয়ে যায়, যে তাঁকে ৩৯ দিন জীবনদায়ী ব্যবস্থায় রাখা হয়েছিল। সেরে ওঠার পর দুজন নিজেদেরই কার্যত চিনতে পারেননি। করোনা তাঁদের যকৃৎ গুরুতর জখম করেছে, হরমোন সংক্রান্ত সমস্যার জেরে অস্বাভাবিক কালো হয়ে গিয়েছে চামড়া।

ই ফ্যান জানিয়েছেন, তিনি বিছানায় ঠিকমত নড়াচড়া করতে পারছেন কিন্তু একা একা হাঁটতে পারছেন না। করোনার সঙ্গে এই দীর্ঘ লড়াই মানসিকভাবে ধ্বস্ত করে দিয়েছে তাঁকে, নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখেন। এবার তাঁর কাউন্সেলিং হবে।

ছবি সৌজন্যে: বেজিং টিভি স্টেশন

উল্টোদিকে হু ইফেংয়ের অবস্থা ছিল আরও খারাপ। ৯৯ দিন শয্যাশায়ী থাকতে হয় তাঁকে, তাঁর চিকিৎসক তাঁর মানসিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত, কারণ তাঁকে দেখতে কেউ এলেই তিনি অনর্গল কথা বলা শুরু করছেন। এখনও আইসিইউ-তেই আছেন তিনি।

ছবি সৌজন্যে: বেজিং টিভি স্টেশন

চিকিৎসকরা মনে করছেন, এই দুজনের চিকিৎসা শুরু হওয়ার সময় তাঁদের যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, তার জেরেই তাঁদের ত্বক কালো হয়ে যায়। যকৃতের অবস্থার উন্নতি হলে ত্বকের রং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে তাঁরা আশা করছেন।