চেন নিজে ২ দিন ওই স্যুপ খান। কিছু অস্বাভাবিক লাগেনি তাঁর। তৃতীয় দিনে বাড়ির সকলে এক সঙ্গে স্যুপটি খাবে বলে ঠিক করে। খাবার গরম করতে যেতেই চামচে উঠে আসে একটা মরা বাদুড়। বাদুড় থেকেই ইউহানে করোনাভাইরাস শুরু হয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। আর সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় আবার খুলে গিয়েছে সেখানকার অপ্রচলিত জন্তুর মাংসের বাজার, যেখানে প্রকাশ্যে বিক্রি হয় সাপ, বাদুড়, প্যাঙ্গোলিন। কিন্তু করোনা আতঙ্কে বাদুড় খাওয়া নাকি কমিয়ে দিয়েছেন চিনের মানুষ।
চেনের পরিবার স্যুপে বাদুড় পেয়ে হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করাতে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই স্যুপের ছবি, তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কালো একটি বাদুড়, তার ডানা, শরীরের কুঁকড়ে যাওয়া বাকি অংশ। চেন বলেছেন, স্যুপটি তিনি আবার গরম করছিলেন, তখন মনে হয় কালো কিছু একটা দেখলেন। তুলে দেখেন, তা একটা ছোট বাদুড়। তাঁর মা প্রথমে ভেবেছিলেন, ওটা কোনও মশলা হবে। কিন্তু চপস্টিক ডুবিয়ে চেন দেখেন, তার কান আর ডানা রয়েছে। এমনকী গায়ে লোমও রয়েছে।
ওই রেস্তোঁরায় গেলে তারা স্যুপের দাম ফেরত দিতে চায়। বলে, ফ্রোজেন স্যুপের পাত্রটি তারা কিনে এনেছিল স্থানীয় একটি স্যুপ প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকে। ওই সংস্থা যদিও তাদের খাবারে বাদুড় থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ফ্রিজ থেকে বার করার পর কোনওভাবে ওই বাদুড় উড়ে এসে স্যুপে পড়ে।
এ ব্যাপারে তদন্ত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু কীভাবে স্যুপের মধ্যে বাদুড় এল তা বুঝতে পারেনি তারা। গোটা পরিবার করোনা পরীক্ষা করিয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে কারওর করোনা ধরা পড়েনি।