কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া সুনীল মণ্ডল। ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তাঁকে ‘ওয়াই ক্যাটিগরি’র নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে সুনীলবাবুর দাবি। সাংসদের বাড়ি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে সিআরপিএফ। দু’দিন আগেই তৃণমূল কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। গত শনিবার কলকাতায় হেস্টিংসে বিজেপি অফিসে ঢোকার সময় হামলা হয়েছিল সদ্য তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো বর্ধমান পূর্বের এই সাংসদের গাড়িতে। এরপরই তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের উল্লাসে তাঁর বাড়ির নিরাপত্তায় দেখা গেল সিআরপিএফ জওয়ানদের। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
বিজেপি নেতার দাবি, ‘ওয়াই ক্যাটিগরি’র নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, আমি কিছু চাইনি। কিন্তু নিরাপত্তা দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকার এখনও নিরাপত্তা তোলেনি।
এ নিয়ে অবশ্য তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের দাবি,ওঁর নিরাপত্তার অভাব তো বোধ করছি না।
বিজেপিতে নাম লেখানোর পর থেকেই পুরনো দলের ক্রমাগত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সুনীলবাবু। মঙ্গলবারও তার অন্যথা হয়নি। তাঁকে ভোটে হারানোর চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তিনি নিজের ক্রেডিটে জিতেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
পাল্টা শাসক শিবিরের তরফে স্বপন দেবনাথ বলেন, দল তো ওঁকে ডাকতই। দল ছাড়ার জন্য একটা কিছু তো বলতে হবে। তাই বলছে।
২০১৪ সালে,রাজ্যসভা ভোটের আগে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুনীলবাবু। এরপর ওই বছরই বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হন। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে তাঁকে ফের প্রার্থী করে তৃণমূল। ফের জিতে সাংসদ হন তিনি। এবার ২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন তিনি।