কলকাতা: বিধ্বংসী আমফানের বছর ঘুরতেই আরেক ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। ঘূর্ণিঝড় যশের ভ্রুকুটিতে বৈঠকে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে থেকে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রশাসনকে।  নবান্নের শীর্ষ কর্তা থেকে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে উপকূলবর্তী সাইক্লোন সেন্টারগুলিকে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার, পানীয় জল, ওষুধ মজুত রাখতে নির্দেশ। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


এই মে-মাসই দেখেছিল দক্ষিণবঙ্গের বুকে বিধ্বংসী আমফানের তাণ্ডব... দেখেছিল আয়লার ভয়াবহতা।


গতবছরের বিশে মে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গকে ছারখার করে দিয়েছিল আমফান। ২০০৯-এর ২৫ মে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল আয়লা। সেই মে মাসেই আবার ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। এবার যশ...!


আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে শনিবার(২২ মে) নাগাদ একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেই নিম্নচাপ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে, শক্তিসঞ্চয় করে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম অভিমুখী হয়ে, ২৬ মে, বুধবার পৌঁছতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে। তার জেরে ২৫ তারিখ, অর্থাত্‍, মঙ্গলবার সন্ধে থেকে দুই রাজ্যের উপকূল এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে যশ। নামকরণকারী দেশ ওমান। আবহাওয়া দফতররের অনুমান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, শঙ্করপুর সমুদ্র সৈকতে। অন্যদিকে, ওড়িশার বালেশ্বর উপকূলেও ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে।


করোনা মহামারীতে তছনছ দেশ... তারমধ্যে, দেশের পশ্চিম প্রান্তে তওতের বিধ্বংসী রূপ... লণ্ডভণ্ড গুজরাত, মহারাষ্ট্রের উপকূল এলাকা। বহু প্রাণ গিয়েছে...ধ্বংস হয়েছে সবুজ।সেই রেশ এখনও কাটেনি। 7তারমধ্যেই এবার যশের ভ্রুকুটি। তবে, এর সঙ্গে বর্ষা আগমনের কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এবার নির্ধারিত সময়ের একটু আগেই কেরলে বর্ষা আসতে পারে। ১ লা জুনের বদলে, ৩১শে মে-তেই বর্ষা ঢুকে যাবে। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও ২২শে মে-র বদলে, ২১ তারিখই বর্ষার আগমনের সম্ভাবনা। সেই হিসাব মতো, একটু আগে এরাজ্যেও বর্ষা ঢুকে যেতে পারে। তবে, আগামী কয়েক দিন অস্বস্তিকর গরম থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের জেলগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে।