লখনউ: বিধানসভা ভোটের আগে রদবদল হতে পারে যোগীর মন্ত্রিসভায়। ব্রাহ্মণ মুখ জিতিন প্রসাদকে ক্যাবিনেটে আনতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। শিকে ছিঁড়তে পারে সঞ্জয় নিশাদের। সূত্রের খবর, বিধান পরিষদে এঁদের আনতে পারেন আদিতদ্যানাথ।


বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক জয় বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। এবার বিধানসভা নির্বাচনে সেই জয়ের ধারা বজায় রাখতে চায় বিজেপি। তাই একে একে ফাঁক ফোঁকর বোজানো শুরু করেছে পদ্ম ব্রিগেডে। সূত্রের খবর, রাজ্যের বিধান পরিষদে এবার ভোটব্যাঙ্কের অঙ্ক কষে জায়গা পাবেন নেতারা। সেই তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে ব্রাহ্মণ নেতা জিতিন প্রসাদের। 


মূলত, বিধানসভা ভোটের আগে ব্রাহ্মণদের তুষ্ট রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিজেপি। বর্তমানে বিধান পরিষদে চারটি আসন খালি রয়েছে। সেখানেই জায়গা হতে পারে জিতিনের। এই তালিকায় জোরাল নাম রয়েছে নিশাদ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জয় নিশাদের। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাঁকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করতে বিজেপির ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন নিশাদ। তাঁর ছেলে প্রবীণ নিশাদ বর্তমানে সন্ত কবীর নগরের সাংসদ। ইউপির রাজনৈতিক মহলের ধারণা, যোগীর ক্যাবিনেট রদবদলের ফলে ৪-৬ জন নতুন মন্ত্রী হবেন।


বর্তমানে যোগীর মন্ত্রিসভা


উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রিসভায় এখন সব মিলিয়ে ৫৪ জন মন্ত্রী রয়েছেন। যার মধ্যে ২৩ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন ৯জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন ২২জন। নিয়ম অনুসারে, এখনও পর্যন্ত ৬ জন মন্ত্রীর পদ খালি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, ইউপির বিধানসভার বাদল অধিবেশেনের আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন যোগী আদিত্যনাথ। ওবিসি, ব্রাহ্মণ ছাড়াও অন্য কাস্টের প্রতিনিধিদেরও জায়গা হবে সেখানে। 


কোভিডের কারণে মৃত্যু মন্ত্রীদের


২০১৭ সালের ১৯ মার্চ যোগীর মন্ত্রিসভা গঠন হয়। পরবর্তীকালে ২০১৯ সালের ২২ অগাস্ট নতুন করে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় আদিত্যনাথের ক্যাবিনেটে ৫৬ জন মন্ত্রী ছিলেন। সম্প্রতি যাঁদের মধ্যে তিন মন্ত্রীর কোভিডে মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে বাদল অধিবেশনের আগে তাই মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে।