নয়াদিল্লি : বরিস  জনসনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই তাঁর মনোবল চাঙ্গা করতে  ট্যুইট করে নরেন্দ্র মোদি ভরসা দিলেন, তাঁকে ‘যোদ্ধা’ বললেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আজ ট্যুইট করে নিজের মারণ ভাইরাস সংক্রমণের খবর দেন। ভিডিও বার্তায় জানান, তিনি সেলফ আইসোলেশনে যাচ্ছেন অসুস্থ হয়ে পড়ায়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের সরকার পরিচালিত ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের কর্মীদের প্রচেষ্টার প্রশংসাও করেন। বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় আমার মধ্যে মৃদু লক্ষণগুলি ফুটে উঠেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ  পরীক্ষা পজিটিভ হয়েছে। নিজেকে আলাদা করে নিচ্ছি,তবে এই ভাইরাসের মোকাবিলা চলবে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সরকারের প্রয়াসের নেতৃত্ব দিয়ে যাব। একসঙ্গে আমরা একে হারাব।


জনসনের দ্রুত আরোগ্য় কামনা করে মোদি ট্যুইট করেন, প্রিয় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, আপনি একজন লড়াকু মানুষ, এই চ্যালেঞ্জও উতরে যাবেন। আপনার সুস্বাস্থ্য প্রার্থনা করি, ব্রিটেন যাতে স্বাস্থ্যবান থাকা সুনিশ্চিত হোক, সেজন্য রইল শুভকামনা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের জনৈক  মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে জানান, জনসনের শরীরে বৃহস্পতিবারই কিছু প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ে। ইংল্যান্ডের চিফ মেডিকেল অফিসারের পরামর্শে তিনি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করান। বাসভবনেই এনএইচএস-এর কর্মীরা পরীক্ষা করেন তাঁকে।  ঘটনাচক্রে জনসনের সঙ্গীনী ক্য়ারি সাইমন্ডস সন্তানসম্ভবা। জনসন ছাড়াও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসচিব সহ তাঁর কয়েকজন মন্ত্রীও।

ব্রিটেনে বিশ্বজুড়ে অগুনতি প্রাণ কেড়ে নেওয়া মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া হাইপ্রোফাইল মানুষদের তালিকায় ইতিমধ্যেই নাম উঠেছে প্রিন্স চার্লসের।  তিনি স্কটল্যান্ডের বাড়িতে সেল্ফ কোয়ারেন্টিনে চলে গিয়েছেন। ১৫ মার্চ বাকিংহাম প্যালেস ছাড়েন রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়।

.