নয়াদিল্লি : করোনাসুর বধের লড়াইয়ে আরও এক অস্ত্র পেল ভারতবাসী। জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিনকে ভারতে এর্মাজেন্সি ইউজ তথা আপদকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্র দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। জাইকোভ-ডি-ই প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন যা ছাড়পত্র পেল ভারতে। দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ১২ বছরের ওপরের শিশুদের জন্যও যে ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রক। জাইডাস ক্যাডিলার জাইকোভ-ডি ভ্যাকসিনও ছাড়পত্র পাওয়ায় এই মুহূর্তে দেশে মোট ছ'টি সংস্থা ভ্যাকসিন দেওয়ার জায়গায় পৌঁছল। ভারতে একদম শুরুতেই সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। তারপর একে একে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানা ও জনসন অ্যান্ড জনসন ছাড়পত্র পায়।


আমদাবাদস্থিত এই ফার্মা সংস্থার পক্ষ থেকে গত ১ জুলাই আপদকালীন ভিত্তিতে ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য আবেদন করা হয়েছিল ডিসিজিআই-এর কাছে। ভারতজুড়ে ৫০টি বেশি জায়গায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর পরই এর্মাজেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন চেয়েছিল জাইডাস ক্যাডিলা। যা ছাড়পত্র পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ওপর করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য অনুমতি চেয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। গত ১৭ অগাস্ট সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কাছে ওই অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এ মাসেই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।  



করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটানোর পর এই মুহূর্তে গোটা দেশ আশঙ্কার প্রহর গুণছে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। একাধিক রিপোর্টের আশঙ্কা অক্টোবর নাগাদ গোটা দেশজুড়ে যা আছড়ে পড়তে পারে। এই অবস্থায় দ্রুতগতিতে ভ্যাকসিনেশনই একমাত্র গতবারের মতো মৃত্যুমিছিলের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে রক্ষা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একদিকে যেমন ভ্যাকসিনের আকাল কাটিয়ে ক্রমশ গতি পেয়েছে সেই প্রক্রিয়া, তেমনই আরও একটি ভ্যাকসিনকে ব্যবহারিক প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার স্বস্তির নিঃশ্বাস সব মহলে। বিশেষ করে যেখানে তৃতীয় ঢেউয়ে বাড়তি আশঙ্কা শিশুদের ঘিরে, সেখানে শিশুদের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলা জাইকোভ-ডি ছাড়পত্র পাওয়ায় বাড়তি স্বস্তি চিকিৎসক মহলে।