নয়া দিল্লি: বাড়ির মধ্যে ঘুরে ধুরে নিজের মনেই খেলছিল সে। সামনে ছিল না বাড়ির লোক। তাঁরাও ব্যস্ত ছিল বাড়ির ভিতরে। আর সেই সময়ই ঘটে গেল এক কাণ্ড। সাপ ছিবিয়ে খেল ৩ বছরের খুদে! ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদ জেলার মহম্মদবাদ এলাকার মদনাপুর গ্রামে। এমন ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 


ঠিক কী ঘটেছিল? 


স্থানীয় সূত্রে খবর, দীনেশ কুমারের ছেলে আয়ুষ বাড়ির উঠানে খেলছিল। হঠাৎই এক ভয়ার্ত চিৎকার করে সে। সেই চিৎকার শুনে তার ঠাকুমা ছুটে আসেন। ছুটে এসে দৃশ্য দেখে তো তিনিও চিৎকার করেন। ওই মহিলা দেখেন, একটি মৃত সাপ তাঁর নাতির মুখে ঝুলছে।                                                                                                                    


এই ঘটনার পর বাচ্চাটির মা-বাবাও ছুটে আসে। এরপর মৃত সাপটিকে একটি পলিব্যাগে রেখে শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন। শিশুটিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর রোববার চিকিৎসকরা তাকে আশঙ্কামুক্ত ঘোষণা করেন।


ওই খুদের ঠাকুমা বলেন, 'আমি ওই দৃশ্য দেখে আগে সাপটিকে ওর মুখ থেকে টেনে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম। যদিও সাপটি বিষাক্ত কি না তা জানতে পারিনি। তাই আমার ছেলে ও ছেলের বউকে সাবধান করে দিয়েছিলাম। তাই বাচ্চাটিকে নিয়ে ওঁরা ডাঃ রাম মনোহর লোহিয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।' 


তবে বাচ্চাটির সঙ্গে সঙ্গে সাপটিকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যাতে সাপটি দেখে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন কীভাবে সঠিক চিকিৎসা করবেন। জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত ডাক্তার, ডক্টর মহম্মদ সেলিম আনসারি, যিনি শিশুটিকে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, বলেছিলেন যে ছেলেটিকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে এবং সে ভাল আছে এবং তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


চিকিৎসকের তরফে বলা হয়েছে, এই সাপটি বিষধর নয় একেবারেই। তাই প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ৩ বছরের শিশুটি। 


 


আরও পড়ুন, নিজের হাতে ৮ হাজার গাছকে সন্তানস্নেহে পালন, ১১২ বছরেও কীর্তি গড়ে চলেছেন ভারতের 'বৃক্ষ-মাতা'