বেঙ্গালুরু: ৭২ বছরের এই বেঙ্গালুরুর বৃদ্ধের গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ধরা পড়েছিল। কিন্তু ২৫ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তাঁর গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার (Ayushman Bharat PM Jan Arogya Yojana) সুবিধে পাননি তিনি। আর সেই কারণেই আত্মঘাতী (Bengaluru Senior Citizen) হলেন বাহাত্তরের বৃদ্ধ। পেশায় তিনি একজন রাজ্য সরকারি কর্মী ছিলেন, অবসর নিয়েছিলেন। ক্যানসার ধরা পড়ার ১৫ দিন পরেই মারা যান তিনি।


সেই বৃদ্ধ প্রচণ্ড আশ্চর্য হয়েছিলেন এটা শুনে যে তাঁর ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য কেন্দ্র সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় প্রবীণ নাগরিকদের জন্য কোনো চিকিৎসার সুবিধেই মিলবে না হাসপাতাল থেকে। এই যোজনার অধীনে ৫ লক্ষ টাকার কভারেজ মেলে, কিন্তু সেই বৃদ্ধের চিকিৎসার জন্য তা পাওয়া যাবে না শুনেই মানসিকভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের একজন। সেই বৃদ্ধের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, 'তাঁর জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় কার্ড করানো হয়েছিল যাতে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার কভারেজ পাওয়া যায়, কিন্তু কিদওয়াই মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট অফ অঙ্কোলজি এই সুবিধে দিতে অস্বীকার করে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্য সরকারের তরফে এখনও কোনো নির্দেশ আসেনি এই যোজনার অধীনে ক্যানসারের চিকিৎসা নিয়ে। যদিও এই যোজনায় চিকিৎসা করালে ৫০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যেত'।


কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত এই সরকারি স্কিম প্রযোজ্য হয়নি রাজ্যে। আর এই যোজনার ফান্ডিং নিয়ে এখনও কোনো স্পষ্টতা নেই। এই স্কিমে মূলত ৭০ বছর এবং তাঁর বেশি বয়সীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা কভারেজ দেওয়া হয় বিনামূল্যে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে সেই বৃদ্ধের একটি স্ক্যান করাতেই খরচ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। বাকি কেমো সেশনের জন্য অর্থসংগ্রহ চলছিল। কিন্তু তার আগেই দুদিনের মধ্যেই আত্মহত্যা করেন সেই বৃদ্ধ। তিনি ভেবেছিলেন যে এই সুবিধে পাওয়া যাবে না এবং পরিবারের উপর অনেক আর্থিক বোঝা নেমে আসবে।  


 


আরও পড়ুন;Car Number Plate: দুই গাড়ির একই নম্বর প্লেট ! পাকড়াও করল পুলিশ; চালককে জেরা করতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য