হ্যারিসবার্গ (পেনসিলভ্যানিয়া): ইচ্ছা ছিল, বিশাল বড় একটা পরিবার (family) হবে। জীবনের শেষ অধ্যায়ে এসে সেই ইচ্ছা পূর্ণ হল পেনসিলভ্যানিয়ার (Pennsylvania) বাসিন্দা মার্গারিট কোলারের। চতুর্থ প্রজন্মের শততম (100th) সদস্যকে (great grandchild) অভ্যর্থনা জানালেন মার্গারিট। তাঁর নিজের বয়স এখন ৯৯।


ভরপুর সংসার...
১১ সন্তানের জননী মার্গারিটের জন্ম ১৯২২ সালে। আর কয়েক মাসের মধ্যে একশোতম জন্মদিন পালন করার পরিকল্পনা তৈরি তাঁর। তবে একা কিছু করেন না তিনি। ছেলেমেয়ে, নাতিনাতনি ও তাঁদের ছেলেমেয়ে নিয়ে ভরপুর পরিবার। গত ৪ অগাস্ট সেই তালিকাতেই শততম সংযোজন কোলার উইলিয়াম বলস্টার। সদ্যোজাতের নামে বৃদ্ধার নাম রয়েছে। রয়েছে তাঁর প্রয়াত স্বামী উইলিয়ামের নামও। মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে নবতিপর বলেছেন, 'আমি সব সময়ই বিশাল পরিবার চেয়েছিলাম। একমাত্র সন্তান হওয়া খুব চিন্তার---বড় একাকীত্ব তাতে।' মার্গারিটের ১১ জন সন্তান, ৫৬ জন নাতিনাতনি। এবার তার পরবর্তী প্রজন্ম। সব মিলিয়ে সেঞ্চুরিপার।


কী হল?
দেখেশুনে গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের 'One Hundred Years of Solitude' উপন্যাসের উরসুলা-র কথা মনে পড়ে গিয়েছে কারও কারও। 'বুয়েনদিয়া' পরিবারের প্রবীণা উরসুলার বংশলতিকা যে কতটা ছড়ানো ছিল, তার ডালপালা, শাখাপ্রশাখা নিয়ে মার্কেজ যে 'ম্যাজিক রিয়ালিজমের' জাল বুনেছিলেন, তা কিংবদন্তী হয়ে গিয়েছে। বাস্তবে মার্গারিট অবশ্য একসময়ে সন্ন্যাসিনী হতে চেয়েছিলেন। কথায় কথায় মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, তাঁর বাড়ির কাছে যে কনভেন্টটি তাঁকে বার বার প্রত্যাখ্যান করে। হবু স্বামী-ই সেই সময় বুঝিয়ে সুঝিয়ে মত বদলান মার্গারিটের। তার পর, এখন নাতি-নাতনির পরের প্রজন্ম নিয়ে হইহই করে সংসার করছেন তিনি। এত বড় পরিবার যে এক টেবিলে বসার জায়গা হয় না। কিন্তু যে কোনও উৎসবে সকলে মিলে চুটিয়ে আনন্দ করেন, জানালেন ক্রিস্টিন বলস্টার। সম্পর্কে কোলারের নাতনি এবং তাঁর পরিবারের শততম সদস্যের মা। 


কী অভিজ্ঞতা?
পরিবারের ১০০ তম সদস্য কে হবে, এই নিয়ে ক্রিস্টিনের সঙ্গে তাঁরই তুতো বোনেরই 'প্রতিযোগিতা' চলছিল। দুজনেই একসঙ্গে সন্তানসম্ভবা হন, কাছেপিঠেই প্রসবের সময় ছিল দুজনের। কিন্তু পৃথিবীতে আসার খুব বেশি তাড়া ছিল না কোলার উইলিয়াম বলস্টারের। ডিউ ডেটের এক সপ্তাহ পর জন্মায় সে। তার আগেই পৃথিবীর আলো দেখে ক্রিস্টিনের তুতো বোনের সন্তান। সে ৯৯তম সদস্য, কোলার উইলিয়াম বলস্টার ১০০ তম। তবে নবতিপরের সান্ত্বনা একটাই, দুজনেই সুস্থ হয়েছে।
বাকি উদযাপন তো চলছেই। জীবনের উদযাপন, আনন্দধারা...


আরও পড়ুন:গরুপাচারকারীদের সঙ্গে কেন কথা বলতেন সায়গল ? জেরা সিবিআই-র