নয়াদিল্লি: মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) একদল কারিগর ফেলে দেওয়া জিনিস ও আবর্জনা ব্যবহার করে "রুদ্র বীণা" (Rudra Veena) তৈরি করেছেন। ৫ টন ওজনের ওই বীণা লম্বায় ২৮ ফুট, চওড়ায় ১০ ফুট ও উচ্চতা ১২ ফুট। প্রায় ৬ মাস ধরে ১৫ জন কারিগরের দল এই বীণা তৈরি করেছেন। এএনআই সূত্রে খবর, এই বীণা তৈরিতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
বিশালাকার 'রুদ্র বীণা' ভাইরাল
ওই কারিগরদের মতে, এখনও পর্যন্ত তৈরি হওয়া সব রুদ্র বীণার মধ্যে এটিই পৃথিবীর বৃহত্তম। এই বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে গাড়ির বিভিন্ন ফেলে দেওয়া যন্ত্রাংশ যেমন, তার, চেন, গিয়ার, বল বিয়ারিং (wire, chains, gears and ball bearings) ইত্যাদি।
কারিগরদের অন্যতম পবন দেশপাণ্ডে এএনআইকে বলেছে, 'এই বীণা "কাবাড় সে কাঞ্চন", এই থিমের ওপর ভিত্তি করে মূলত তৈরি হয়েছে। ১৫ জন শিল্পী এটির ডিজাইন, বর্জ্য জোগাড় করার কাজে জড়িত ছিলেন। প্রায় ৬ মাসের চেষ্টায় অবশেষে বৃহত্তম বীণা তৈরি হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা একটি ভারতীয় থিম নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানতে পারে। 'রুদ্র বীণা' নিজেই অনন্য। এটি শহরের এমন জায়গায় স্থাপন করা হবে যেখানে লোকেরা এটির সঙ্গে সেলফি তুলতে পারবে। আমরা এতে একটি মিউজিক্যাল সিস্টেম এবং লাইট স্থাপন করব যাতে এটি আরও সুন্দর দেখায়।'
ভোপালের অটল পথের একটি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে এই বীণা রাখা হবে। বর্জ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি এই বীণা পৃথিবীর বৃহত্তম বলে দাবি শিল্পীদের। 'আমরা গবেষণা করে দেখেছি যে স্ক্র্যাপ এবং আবর্জনা থেকে এত বিশাল বীণা কখনও তৈরি হয়নি। এটি শুধু ভোপাল নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বীণা। এই রুদ্র বীণা তৈরিতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।'