AI Layoff: অস্ট্রেলিয়ার সবথেকে বড় ব্যাঙ্কে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কাজ করতেন এক মহিলা। নিজের অনিচ্ছাতে এবং অজান্তেই এআই প্রযুক্তির পিছনে দিনরাত এক করে খাটতেন তিনি। আর সেই এআই সিস্টেমই (AI Layoff) রিপ্লেস করে দিল তাঁকে। নিউজ কর্প অস্ট্রেলিয়া সংবাদমাধ্যমে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। জুলাই মাসেই কাজ হারিয়েছেন কমনওয়েলথ ব্যাঙ্ক অস্ট্রেলিয়ার কর্মী ক্যাথারিন সুলিভান। শুধু তিনি নন, তার সঙ্গে কাজ (Bank Employee Layoff) হারিয়েছেন আরও ৪৪ জন কর্মী। ব্যাঙ্কে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এই প্রথম কারও চাকরি গেল।
ক্যানবেরায় এক এআই সিম্পোজিয়ামে (AI Layoff) বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিসেস সুলিভান শেয়ার করেন যে তিনি জানতেন না ব্যাঙ্কের এআই চ্যাটবট বাম্বলবির জন্য স্ক্রিপ্ট তৈরি ও প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে তার চাকরিটি চলে যেতে পারে। এত বছরের কর্মজীবনে ছেদ টানল এআই, প্রযুক্তি কীভাবে তার কর্মক্ষেত্রে পরিবর্তন আনছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
তার কথায়, ‘আমরা জানতাম যে মেসেজিং শেষ পর্যন্ত বিদেশে পাঠানো হবে, কিন্তু সংস্থায় ২৫ বছর কাজ করার পরে আমি আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি আমাকে এভাবে অপ্রয়োজনীয় করে দেওয়া হবে। অজান্তেই আমি একটি চ্যাটবটকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলাম যা আমার চাকরি কেড়ে নিল। ৬৩ বছর বয়সী মিসেস সুলিভান আশা করেছিলেন যে বটটির ভূমিকা প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরে তাঁকে পুনরায় নিয়োগ করা হবে, কিন্তু তাঁকে বলা হয়েছিল যে সংস্থার আর তাঁকে দরকার নেই’।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন তাঁকে চাকরিচ্যুত করার খবরের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল ‘অত্যন্ত মর্মাহত’। তাঁর কথায় ‘যদিও আমি এআই ব্যবহারকে গ্রহণ করি এবং কর্মক্ষেত্রে এবং বাইরে এর একটি উদ্দেশ্য দেখতে পাচ্ছি, আমি বিশ্বাস করি কপিরাইট লঙ্ঘন রোধ করার জন্য অথবা মানুষের প্রতিস্থাপনের জন্য কিছু ধরনের নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার’।
এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই ডিবিএস ব্যাঙ্কের চিফ এক্সিকিউটিভ জানিয়েছেন আগামী ৩ বছরের মধ্যে ৪ হাজার কর্মী (Bank Jobs) কাজ হারাতে পারেন। এর আগে যা যা নতুন প্রযুক্তি অবলম্বন করা হয়েছে তার থেকে একেবারেই আলাদা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তিনি আরও নতুন কর্মসংস্থান তৈরির জন্য ভাবছেন, তার ১৫ বছরের কর্মজীবনে সিঙ্গাপুরের ব্যাঙ্ক শাখার জন্য আরও কর্মী নিয়োগের কথা ভাবছেন তিনি।