কলকাতা: বর্তমান দুনিয়ায় সব কিছুই প্রায় ডিজিটাল ভিত্তিক। কোথাও যাওয়া হোক বা কিছু কেনা, অনলাইন মাধ্যমের উপরই এখন ভরসা বেশি। একই জিনিস প্রযোজ্য প্যাকেজিং এবং কোনও কিছু বিক্রির ক্ষেত্রেও। আর এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি যার ব্যবহার তা হল বার কোড (Barcode)। কিন্তু কী এই বার কোড? কত ধরনের বার কোড হয়? কীভাবে ব্য়বহার করা হয় এই বার কোড?


বার কোডের ব্যবহার: বার কোড হল চৌকো আকৃতির ছবি। যাতে একাধিক কালো সমান্তরাল লাইন থাকে। মাঝে বেশ কিছু সাদা ফাঁকা জায়গাও থাকে। এই বার কোড সহজেই স্ক্যানার পড়ে ফেলতে পারে। যে কোনও বার কোড ব্যবহার করা হয় তাৎক্ষণিক শনাক্তকরণের জন্য। কোনও পণ্য মজুত করা থেকে একেবারে বিক্রি পর্যন্ত ব্যবহার হয় এই বার কোডের। এমনকী চালানেও বার কোডের ব্যবহার করা হয়। বার কোড হল মূলত দুধরনের, 1D এবং 2D।


1D বারকোড স্ক্যান করা যায় ক্যামেরা ভিত্তিক কোনও স্ক্যানার বা লেজ়ার স্ক্যানার দিয়ে। এতে একাধিক লাইন থাকে। যার মধ্য়ে রয়েছে লেখা তথ্য, যেমন কোনও পণ্য কী ধরনের, তার সাইজ এবং রং। পণ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোড বা UPC পোস্টাল পরিষেবার মাধ্যমে প্যাকেজগুলি ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। একইভাবে বইয়ের পিছনে যে ISBN নম্বর থাকে, তাও পোস্টাল মাধ্যমে ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। 2D বারকোড আরও উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন। 2D বারকোড বিভিন্ন জ্যামিতিক আকার বিশিষ্ট যেমন বিন্দু, আয়তক্ষেত্র, ষড়ভুজ এবং বর্গক্ষেত্র হতে পারে। 1D বারকোড একমাত্র 1D স্ক্যানার দিয়েই স্ক্যান করা যায়। 2D বারকোড যে কোনও কোণ থেকে স্ক্যান করা যায়। এমনকী কোনও কারণে ড্যামেজ হলে বা বারকোডের প্রিন্ট খারাপ হলেও স্ক্যান করা সম্ভব।                 


নরম্যান জোসেফ উডল্যান্ড প্রথম বারকোডের ধারণা সামনে এনেছিলেন। মোর্স কোড এবং বার্নার্ড সিলভারে দেখানোর জন্য বালির উপর একাধিক লাইন এঁকেছিলেন। ১৯৬৬ সালে পেটেন্ট মঞ্জুর করা হয়। NCR প্রথম বাণিজ্যিক স্ক্যানা তৈরি করে বারকোড পড়ার জন্য। প্রথম পণ্য হিসেবে স্ক্যান করা হয় রিগলি গাম। এরপর ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ওঠে এই বারকোড।              


আরও পড়ুন: Purulia News: ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা পূর্ণিমা কান্দুর