কলকাতা: স্বামী-স্ত্রী মিলিয়ে মাসে রোজগার প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। এই টাকা কী ভাবে খরচ করবেন, সেটাই ঠাওর করে উঠতে পারছেন না দম্পতি (Viral News)। এই 'ঝামেলা' থেকে উদ্ধার পেতে নেটিজেনদের (How To Spend Excess Money) শরণাপন্ন হয়েছেন তাঁরা। আকাশ-কুসুম গল্প নয়, একেবারে খাঁটি বাস্তব। পেশায় প্রযুক্তিবিদ ওই দম্পতি আদতে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের পোস্ট এখন রীতিমতো ভাইরাল।


কী পোস্ট দম্পতির?
'গ্রেপভাইন অ্যাপ'-এ প্রথম নিজেদের 'ঝামেলার' কথা জানিয়েছিলেন ওই দম্পতি। সাধারণত, এই অ্যাপে নিজেদের বেতন, কাজের জায়গা এবং আর্থিক বিষয়-আশয় নিয়ে আলোচনা করেন ভারতীয় পেশাদাররা। পরে, সেই অ্যাপের সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৌমিল ত্রিপাঠি, ওই সমস্যা নিয়ে আলোচনার স্ক্রিনশট শেয়ার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। সেখান থেকেই তুমুল আলোড়ন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সৌমিল স্ক্রিনশট শেয়ার করে লেখেন, 'এটা দারুণ ব্যাপার। এক সময়ে শুধু ভারতীয় ব্যবসায়ীরাই এই সব অতিরিক্ত বিষয় নিয়ে সমস্যায় পড়তেন। কিন্তু এখন আমরা দেখছি, পরিষেবা ক্ষেত্রে চাকরিরত, তিরিশের কোঠার লোকজনও একেবারে ধনীদের মতো সমস্যায় পড়েছেন।'  বিস্মিত নেটিজেনদের অনেকেই। তারাঁ জানাচ্ছেন, যেখানে বেশিরভাগ সময় অর্থের অভাব মানুষকে চিন্তায় রাখে, সেখানে এই দম্পতির ক্ষেত্রে মাথাব্যথা বাড়িয়েছে অতিরিক্ত উপার্জন। কী ভাবে এই উপার্জন তাঁরা খরচ করবেন, সেই মর্মে পরামর্শও চেয়েছেন তাঁরা। 


দম্পতি যা লিখেছেন...
পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই বয়স ৩০-র ঘরে। বেঙ্গালুরু নিবাসী ওই দম্পতি পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। স্বামী জানিয়েছেন, বার্ষিক বোনাস হিসেব করে তাঁদের মাসিক উপার্জন ৭ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ২ লক্ষ টাকা তাঁরা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন।তাঁদের মাসিক খরচ দেড় লক্ষ টাকা। বেঙ্গালুরুর উন্নতমানের আবাসনে তাঁরা থাকেন, গাড়ি রয়েছে এবং সাধারণ ভাবে খরচের আগে বেশি ভাবেন না। তবে তাঁদের কোনও সন্তান নেই। 
প্রত্যেক মাসেই ওই দম্পতি দেখছেন, এত কিছুর পরও প্রায় ৩ লক্ষ টাকা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থেকে যাচ্ছে। স্বামী লিখেছেন, 'জানি না এই টাকাটা কী ভাবে ব্যবহার করব। আমাদের কোনও দামি শখ-আহ্লাদও নেই, যেখানে খরচ করা যায়। ফলে খরচ করার কোনও তাগিদ পাচ্ছি না। কোনও পরামর্শ থাকলে দেবেন প্লিজ।' দম্পতির এই সমস্যা সমাধানে নানা রকম পরামর্শ দিয়েছেন নেটিজেনরা। কেউ বলেছেন, বিলাসবহুল বেড়াতে যাওয়ার কথা, কেউ আবার ভাল কোনও বাড়ি কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। কারও বক্তব্য, কোনও ব্যবসায় বিনিয়োগ করে দেখতে পারেন, কেউ কেউ আবার পশুকল্যাণে দান করতেও বলেছেন। তবে কম-বেশি সকলেই একটি বিষয়ে একমত। টাকা খরচ করা নিয়েও যে সমস্যা হতে পারে, এটি রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো ব্যাপার।


 


আরও পড়ুন:চিনি পাতা দই বাড়িতে পাতুন, কী করলে জমাট হবে বেশি, স্বাদেও আহা !