সামনেই ক্রিসমাস। এ সময় তুষারপাতের আনন্দই আলাদা। বছরের সময়টা তুষারপাতের সঙ্গেই যেন মিশে থাকে বড়দিন আর ছুটির মজা। কিন্তু এ কেমন তুষার ! মঙ্গলবার মার্কিন মুলুকে রামফোর্ডের মেইনে প্রতিবারের মতো এবারও তুষারপাত হয়। তখনই লাগে চমক । তুষারের রং এমন কেন ?
মঙ্গলবারের তুষারপাত কেমন যেন অস্বাভাবিক। পুরো এলাকা মুহূর্তে ঢেকে যায় খয়েরি তুষারে। প্রতি বছরই তুষারপাত হলেই অনেকে আনন্দ শুরু করে। স্নো-বল বানিয়ে ছোড়াছুড়ির মজাই তো আলাদা। কিন্তু এমন বর্ণের তুষারপাত দেখেই শহরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তড়িঘড়ি সতর্ক হন। ফেসবুকের মারফত জানানো হয়, কেউ যেন ওই বরফ ভুলক্রমেও মুখে না দেন। ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ওই অঞ্চলের স্থানীয় একটি কাগজ কারখানার একটি ত্রুটির জন্যই এই অদ্ভুত কাণ্ড। ওই পেপার মিল থেকে বের হওয়া একটি তরলের কারণেই ওই অঞ্চলে বরফের রঙেও পরিবর্তন হয়েছে। কাগজ উৎপাদন প্রক্রিয়ার সময় এই খয়েরি তরল বের হয়, তা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। সেই তরলের কারণেই এই সমস্যা।
প্রাথমিকভাবে, এই তুষারের নমুনা পরীক্ষা করার পর, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই তুষার স্পর্শ না করার নির্দেশ দেন। এই তরলটি মূলত একটি ক্ষার । এটি স্পর্শ করলে ত্বকে জ্বালা ধরবেই। মেইন ডিপার্টমেন্ট অফ এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশনের পরীক্ষায় বরফের pH মাত্রা ছিল ৪ এর কম। তা থেকেই বোঝা যায় কতটা তীব্র ক্ষার এটি।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা যায়, বাদামী তুষারে ঢেকে গিয়েছে একটি খেলার মাঠ। ক্ষতিকর হলেও , ওই তরল পদার্থটিকে বিষাক্ত বলা হচ্ছে না। তবে বাসিন্দাদের ওই খয়েরি তরল চামড়ায় না লাগলেই হল। পোষ্য ও শিশুদের নিয়ে তুষারে না নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
"আমরা নিশ্চিত যে এই সময়ে জননিরাপত্তার উদ্বেগ ন্যূনতম। তবে, প্রচুর সতর্কতার জন্য, অনুগ্রহ করে বাদামী বরফের সাথে সরাসরি ত্বকের যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন," কর্মকর্তারা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন । শিশুরা যাতে তুষারাবৃত এলাকা থেকে দূরে থাকে, তা নিশ্চিত করতে স্কুলগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে। কাগজ কল থেকে বের হওয়া তরল আরও বেশি করে পরীক্ষা করে দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন :
সংখ্যালঘু-মন্তব্যে কোণঠাসা ফিরহাদ! সত্যিই কী বলতে চেয়েছেন? ঘনিষ্ঠমহলে যা বলছেন তিনি...