নয়াদিল্লি: সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরও প্রাক্তনের জ্বালাতন, সারাক্ষণ নজরদারি চালানো প্রতিবেশি, কার্যক্ষেত্রে রগচটা বস, জীবনে সমস্যার শেষ নেই। রাগে গা রি রি করলেও, গিলে হজম করতে হয় সবকিছু। সেই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে নয়া উদ্যোগ কানাডার একটি চিড়িয়াখানার। আসন্ন ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র আগে এমনই সুযোগ নিয়ে হাজির তারা, যেখানে অপছন্দের মানুষকে আরশোলা ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না (Viral News)।
অপছন্দের মানুষকে আরশোলা ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না!
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তার আগে কানাডার টরন্টো জু় ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি এই সুযোগ নিয়ে হাজির (Canada Zoo)। মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা সব রাগ, অসন্তোষ মিটিয়ে ফেলতে পারেন নিমেষে। টরন্টো জু় ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেন্সি নেম-আ-রোচ ক্যাম্পেন শুরু করেছে। এর আওতায় জীবনে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেন যাঁকে, তাঁর নামে নাম রাখতে পারেন আরশোলার।
ওই চিড়িয়াখানায় কমপক্ষে ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০৭ টাকা দান করতে হয়। ঘৃণ্য কারও বিরুদ্ধে অনলাইনও আরশোলার নামকরণ করা যায়। সেখান থেকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট হাতে উঠবে। তার পর হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেটও মিলবে। দেওয়া হবে ডিজিটাল গ্রাফিক ছবি, এমনকি করের হিসেব-সহ বিলও।
আরও পড়ুন: Cold wave in India: ঝরনা নাকি বরফের দেওয়াল? চোখ জুড়োবে কাশ্মীরের এই জায়গা
তবে নাম রাখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হবে। কোনও কুকথা বা গালাগালি নাম হিসেবে রাখা যাবে না। ঘৃণাসূচক কোনও শব্দের ব্যবহার থাকবে না নামে। তবে শুধু প্রাক্তন প্রেমিক নয়, আত্মীয়, পরিচিত, অফিসের বস, যাঁর উপর ক্ষোভ রয়েছে মনে, তাঁর নামেই আরশোলার নামকরণ করা যাবে।
প্রাক্তন থেকে পড়শি, বসের নামেও রাখতে পারেন নাম
তবে আরশোলাকে খাটো করে দেখানো তাদের উদ্দেশ্য নয় বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চিড়িয়াখানার তরফে। বলা হয়েছে, ছোট-বড় সব প্রাণীকেই সম্মান করে তারা। বাস্তুতন্ত্রে আরশোলার ভূমিকাও কোনও অংশে কম নয়। ঘন জঙ্গলে পশুপাখির দেহাংশে পচন ধরাতে সাহায্য করে আরশোলা। বহু পশুর খাদ্যও আরশোলা। তাই আরশোলা দেখে যতই ভয় লাগুক বা গা শিরশির করুক, তারাও পরিবেশেরই অংশ।