কলকাতা : একসঙ্গে ১০ প্লেট বিরিয়ানি সাবাড় করছেন লাইভ ভিডিওয়। কিংবা একসঙ্গে ৮ রকমের মাংস খাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন। এমন ভিডিও আজকাল ভাইরাল হয় খুবই। সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটলে ফিডে এসেই পড়বে এমন একাধিক ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন অনেক ইনফ্লুয়েন্সর আছেন, যাঁরা পাহাড়প্রমাণ খাবার বসে বসে খেয়ে চলেন আর লোককে চমকে দেন। তাঁরা ভিডিও-য় দাবি করেন, একসঙ্গেই তাঁরা এত খাবার খান। আবার ফলোয়ারদের থেকে তাঁরা জানতেও চান, কারা কী খাওয়া দেখতে চাইছেন। সেই মোতাবেক তাঁরা খাবার সাজিয়ে ভিডিও বানান। তবে চিনে এমন চ্যালেঞ্জ নিতে হয় লাইভে।
এক চিনা সাইটে এমন চ্যালেঞ্জ নেন বহু খাইয়ে-রা। তাঁদের এক সিটিং-এ বসে কেজি কেজি খাবার খেতে হয়। ১০ কেজি খাবার খেতে হয় একবারে। ২৪ বছরের এক মহিলা এভাবে লাইভে খাওয়া দাওয়ার চ্য়ালেঞ্জ নিতে গিয়ে প্রাণটাই হারালেন।
২৪ বছর বয়সী এক জন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার লাইভ ফিডে খাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। এই লাইভ ভিডিও চলাকালীনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই ইনফ্লুয়েন্সার। চিনে একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে,প্যান জিয়াওটিং নামে ওই ইনফ্লুয়েন্সার প্রায়ই এমন চ্যালেঞ্জ নিতেন। তাঁকে দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে খেতে হত। Creaders.com এর মতে , একটি স্থানীয় চিনা পোর্টাল দাবি করেছে , জিয়াওটিং মিল প্রতি ১০ কেজি খাবার খেতেন। তাঁর বাবা-মা এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা বারবার বারণ করা সত্ত্বেও শোনেননি। তারপরই এই মর্মান্তিক ঘটনা।
জিয়াওটিং-এর দেহের ময়নাতদন্তের দেখা গিয়েছে,তাঁর পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল । দেহে অপাচ্য খাবার পাওয়া গিয়েছে। জিয়াওটিং-এর মৃত্যু সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে । কেউ কেউ এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। উদ্বেগের বিষয় এটাই, সারা বিশ্বে এই ট্রেন্ড ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এই ধরনের চ্যালেঞ্জ যে কোনও অংশগ্রহণকারীদের জন্যই প্রবল ক্ষতিকর হতে পারে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যবিদরা। আর আরও বেশি ক্ষতিকর হয়ে যায় বিষয়টি যখন এটা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইভ থেকে করতে হয়। ঠিক এই ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ইনফ্লুয়েন্সার।