নয়া দিল্লি: অনলাইনে হাজারো সুবিধা থাকলেও এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট পাওয়া এখনও দুষ্কর। আর ট্রেনের টিকিট না পেয়ে এক দুঃসাহসিক কান্ড ঘটালেন এক ব্যক্তি। যার জেরে গ্রেফতারও হতে হয়েছে তাঁকে। 


কী ঘটেছে? 


উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরের ৩০ বছর বয়সি দিলীপ কুমার পাঁচ ঘন্টা ধরে হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে শুয়ে দিল্লি থেকে কানপুর যান। সোমবার রাতে দিল্লির আনন্দ বিহার টার্মিনালে দিলীপ তার বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেনে ওঠার সময় ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও গ্রেফতারের পর দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, টিকিট না পেয়ে তিনি ট্রেনের ছাদেই সফর করার সিদ্ধান্ত নেন।


এই ঘটনায় পুলিশ থেকে যাত্রীরা সকলেই অবাক। হামসফর এক্সপ্রেস প্রায় ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে রেল ট্র্যাকে ছুটে চলে। সেই প্রবল গতির ট্রেনে ছাদে শুয়ে অতক্ষণ যাত্রা করাকে চরম বিপদজনক বলেছেন যাত্রীরাও। 


কানপুরে ট্রেনটি পৌঁছতেই ঘটনাটি সকলের নজরে আসে। এরপর রেলের আধিকারিকরা ট্র্যাকের উপরে থাকা বৈদ্যুতিক লাইনগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে তাকে নিরাপদে নামানোর চেষ্টা করেছিলেন। যদিও সেই সময় দিলীপ নামতে অস্বীকার করায় তাদের প্রথম প্রচেষ্টা বৃথা হয়েছিল। তবে অনেক চেষ্টার পর তাঁকে প্ল্যাটফর্মে নামাতে পেরেছিলেন। 


আরও পড়ুন, পুলিশের বাজেয়াপ্ত মাদকে হানা, ১৯ কেজি গাঁজা-ভাং খেল ইঁদুর!


রেল আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, দিলীপ ট্রেনের ছাদে যেভাবে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁর ঠিক ৫ ফুট উপরেই ছিল ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন। সামান্যতম ভুলে মর্মান্তিক মৃত্যু হতে পারত দিলীপের, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। তবে পুলিশ তাঁকে নামিয়ে জিআরপিকে হস্তান্তর করে। 


জিআরপি ইন্সপেক্টর অনিল শর্মা বলেছেন যে, কানপুর সেন্ট্রালে ট্রেনের বগির ছাদে ঘুমিয়ে ছিলেন ওই যাত্রী। এরপর প্রয়াগরাজে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর তাঁকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। 


কিন্তু কেন এমন কাজ করলেন দিলীপ? 


পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে দিলীপ বলেন এই ট্রেনে করেই তাঁকে গন্তব্যে পৌঁছতে হত। অথচ রিজার্ভেশন টিকিট পাননি তিনি। তবে তিনি আরও বলেছেন যে এভাবে ভ্রমণের সময় আবহাওয়া মনোরম থাকায় তিনি ছাদে শুয়ে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যই বোধ করেছিলেন। 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে