নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নেশার পণ্য উদ্ধার করে পুলিশ (Police)। অবৈধভাবে দেশজুড়ে চলা নানা চক্রের হদিশ পেয়ে সেইসব চালানকারীদের গ্রেফতার-আটকও করে আইনের রক্ষকরা। কিন্তু এবার পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা মাদকে হানা। কিন্তু গ্রেফতার বা আটক করা যায়নি কাউকেই।
এখন মনে প্রশ্ন উঠতে পারে কেন? পুলিশের কর্মস্থল থেকেই এমন মাদক চুরি করতে পারে এমন বুকের পাটা কার? চুরির পর কেন গ্রেফতার করা যায়নি? কারণ, মানুষ নয়, মাদকে আক্রমণ চালিয়েছে মূষিকের দল।
অবাক করা হলেও এটাই সত্যি। এমনটাই আদালতে জানিয়েছে পুলিশ। ঝাড়খন্ডের অন্তর্গত ধানবাদ থানার পুলিশ আদালতে যে রিপোর্ট পেশ করেছে সেখানে বলা হয়েছে পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা ১০ কেজি মারিজুয়ানা এবং ৯ কেজি 'ভাং' খেয়েছে ইঁদুরের দল। ওই মাদকদ্রব্যগুলি এক ব্যক্তির কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করে থানার যে নির্দিষ্ট ঘর আছে সেখানে রাখা হয়েছিল। এত পরিমাণ মাদক রাখার অপরাধে ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল শম্ভু আগরওয়াল এবং তাঁর ছেলেকে।
সেই মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে বিচারক রাম শর্মা তদন্তকারী অফিসার জয়প্রকাশ প্রসাদকে বলেছিলেন এই বাজেয়াপ্ত পণ্যর বিষয়ে খোঁজখবর নিতে। যদিও পরবর্তীতে এই মামলায়পুলিশ কোনও যথাযোগ্য প্রমাণ ও ওই মাদকের অস্তিত্ব দেখাতে পারেনি। সেই সময়ই পুলিশের তরফে আদালতে জানান হয় যে ওই ১৯ কেজি মাদক খেয়েছে ইঁদুর।
আরও পড়ুন, মন্দিরে পুজো করতে গিয়ে অদ্ভূত কান্ড ঘটালেন পূজারি, রীতি পালন করতে গিয়ে অজ্ঞান!
৬ এপ্রিল আদালতে তদন্তকারী অফিসার একটি রিপোর্ট ফাইল করে জানায় যে ওই বাজেয়াপ্ত মাদক ইঁদুর সব নষ্ট করে দিয়েছে।
এদিকে, শম্ভু আগরওয়ালের আইনজীবী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে জানিয়েছেন, তাঁর ক্লায়েন্টকে মিথ্যে ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে। গোটা বিষয়টিই তৈরি করা। তবে আইনের উপর তাঁরা বিশ্বাস রাখছেন। যেহেতু পুলিশ বাজেয়াপ্ত মাদকের নমুনা আদালতে জমা দিতে পারেনি, সেক্ষেত্রে মামলা এখন কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে