নয়া দিল্লি:  যখনই একজন ব্যক্তি মোবাইল (Mobile) বা ল্যাপটপ (Laptop) কেনেন, তখন তিনি RAM, ROM, ক্যামেরা ইত্যাদি সমস্ত বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করে দেখেন যে সেই গ্যাজেটটির কতটা ডেটা সংরক্ষণ করার ক্ষমতা রয়েছে। কোন মোবাইল বা ল্যাপটপে আমরা কতটা ডেটা সংরক্ষণ করতে পারি তা নির্ভর করে তার মোট মেমোরির জিবি এর উপর। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন মানুষের মস্তিষ্কে (Brain) কত জিবি মেমোরি থাকে? এতে কত ডেটা সংরক্ষণ করা যায়? এর কি কোনো সীমা আছে?                                                             

  


বাজারে ১ জিবি, ২ জিবি এভাবে ১২৮ জিবি বা আরও বেশি জিবির মেমোরি কার্ড বা পেনড্রাইভ পাওয়া যায়। কিছু কিছু হার্ডডিস্ক ও পেনড্রাইভ ১০০০ থেকে ২০০০ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি ধারণ করতে পারে। 


কিন্তু আমাদের ব্রেনে কত জিবি মেমোরি দিয়েছেন?


বিজ্ঞানীরা আজও মানুষের ব্রেনের ক্যাপাসিটি বা ধারণক্ষমতা নির্ণয় করতে সক্ষম হননি। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আপনি যদি ৩০ লক্ষ ঘণ্টা বা ৩৪২ বছর একনাগাড়ে 'মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডে' তথ্য ধারণ করতে থাকেন তাহলেও আপনার মস্তিষ্ক নামের সুপার কম্পিউটারের মেমোরি স্পেস পূরণ হবে না।


মস্তিষ্কের মেমোরি স্পেস নিয়ে গবেষণা তথ্যে নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজির অধ্যাপক ড. পল রেবার উল্লেখ করেছেন, মানুষের মস্তিষ্কে রয়েছে ১০০ কোটি বা এক বিলিয়ন নিউরন। প্রতিটি নিউরন একে অপরের সঙ্গে গড়ে তুলেছে ১ হাজার সংযোগ, যার গাণিতিক সংখ্যা হবে এক ট্রিলিয়নের বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি প্রতিটি নিউরন একটি করে মেমোরি ধারণ করে তা হলেও কারও জীবদ্দশায় কখনও মেমোরি স্পেস শেষ হবে না। বরং এক একটা নিউরন অসংখ্য মেমোরি ধারণ করতে সক্ষম।


আরও পড়ুন, মৃত্যুর পরও শরীরের কোন অংশ দীর্ঘ সময় 'বেঁচে থাকে'?


অধ্যাপক পল রেবর বলেছেন, ব্রেন যদি কোনো সর্বাধুনিক ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারের মতো মেমোরি ধারণ করে, তা হলে সেই মেমোরি যদি কোনো টিভিতে অবিরাম সম্প্রচার করা হয়, তা হলে তিন শতাধিক বছর লাগবে তা প্রচার করতে। বিজ্ঞানীরা এও বলছেন, ব্রেনের মেমোরি ধারণক্ষমতা কমপক্ষে ২ দশমিক ৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন জিবি বা ১০ লাখ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা রয়েছে 'মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডের'।