নয়া দিল্লি: জলভাগের অত্যন্ত দক্ষ শিকারী হল কুমির। তবে উভচর প্রাণীকূলের প্রাণী বলে স্থলভাগেও শিকারের পিছনে তাড়া করার ক্ষমতা রয়েছে তার। সেই প্রাণীটিই কি না কাঁদে? সত্যি, মিথ্যা অনেকেরই অজানা। তবে কেউ কান্নার ভান করলে বা মিথ্যে দুঃখ প্রকাশ করলে মানুষ তার কান্নাকে কুমিরের কান্নার সঙ্গে তুলনা করে। 


কুমির কি সত্যিই কাঁদে? 


রাজনীতিবিদ বা অন্য কারও মুখ থেকে কুমিরের কান্নার প্রবাদ আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন। এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে, আসলেই কি তারা কাঁদে? আসলে তাদের কান্না বেরিয়ে আসে, কিন্তু এটাকে কান্না বলা যায় না।মাংস চিবানোর সময় তারা প্রচুর বাতাস নিঃশ্বাস নেয়, যার ফলে গ্রন্থির উপর চাপ পড়ে এবং চোখ থেকে জল আসতে শুরু করে।


কেন এই উপমা? 


এর পাশাপাশি একটি কারণও বলা হয়েছে যে যখন কুমিরের চোখের পাতা পড়ে তখন চোখ ভিজে  রাখতে চোখে জল আসে। তারা যে সচেতনভাবে করে তা নয়। এটা ভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া। এই কারণেই 'কুমিরের কান্না' প্রবাদটি ব্যবহার করা হয় কারও কান্নাকে মিথ্যা হিসাবে বর্ণনা করার জন্য।   মানুষই একমাত্র প্রাণী, যাদের আবেগে চোখে জল আসে।                                                              


কুমির সম্পর্কে আরও একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। কুমির খুব চালাক প্রাণী। এরা শিকারকে কব্জা করার জন্য প্রথমে মায়াবী চোখের জল ফেলে প্রতারণা করে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে,এই সব তথ্য মোটেও সঠিক কুমির চোখের জল ফেলে কারণ সেই জল তাদের চোখ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ফলে এরা শিকারকে স্পষ্ট দেখতে পায়।                                         



অশ্রুজল চোখের উপর একটি পাতলা আবরণ তৈরি করে। এই আবরণ তিনটি উপাদান দ্বারা গঠিত: শ্লেষ্মা, জল এবং তেল। শ্লেষ্মা চোখের উপরকে ঢেকে রাখে, জল একরকম প্রাকৃতিক লবণাক্ত দ্রবণ সরবরাহ করে, যা প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও খনিজ সরবরাহ করে। তেল চোখকে শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।


আরও পড়ুন, খেলতে খেলতে সাপকে চিবিয়ে খেল ৩ বছরের খুদে! ভর্তি হাসপাতালে