Pre-Wedding Shoot: হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে চলছে অপারেশন। দুজন চিকিৎসককে দেখা যাচ্ছে। একজন পুরুষ এবং অন্যজন মহিলা। এক রোগী পেটে চলছে জটিল অস্ত্রোপচার। হঠাৎ করেই ঐ ঘরে আরও অনেককে দেখা গেল। তাঁদের কারও হাতে ধরা ফ্লাডলাইট, এরই মধ্যে হাসাহাসিও শোনা গেল। তারপর আবার রোগী উঠে বসলেন, তিনিও হাসছেন। অদ্ভুত এই ভিডিয়ো (Viral Video) ভাইরাল হতেই কোপ পড়ল ডাক্তারবাবুর ঘাড়ে। চাকরি খোয়ালেন তিনি। কিন্তু কেন ? আর এই ভিডিয়োটি আসলে কিসের ?


ঘটনাটা কী


এখনকার দিনে দম্পতি, প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুটের নানারকম আইডিয়া ঘুরতে দেখা যায়। সমাজমাধ্যমে এই ধরনের প্রি-ওয়েডিং শ্যুটের (Pre-Wedding Shoot) ছবি নিয়ে বেশ চর্চা চলে নেটিজেনদের মধ্যে। আর এই প্রি-ওয়েডিং শ্যুট করতে গিয়েই সমস্যায় পড়লেন কর্ণাটকের জনৈক ডাক্তার। কর্ণাটকের চিত্রদূর্গ জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের মধ্যেই প্রি-ওয়েডিং শ্যুট করলেন সেই ডাক্তার। আর সেই জন্য চাকরিও চলে গেল তাঁর। সমাজমাধ্যমে সেই প্রি-ওয়েডিং শ্যুটের ভিডিয়ো পোস্ট করতেই সরকারি হাসপাতাল থেকে বহিষ্কার করা হয় অভিষেক নামের সেই ডাক্তারকে।



কী দেখা যাচ্ছে ভিডিয়োতে


অপারেশন থিয়েটারের মধ্যেই শ্যুটিং হচ্ছিল। অভিষেক এবং তাঁর হবু স্ত্রী একজন রোগীর অস্ত্রোপচার করছিলেন। আসলে এই অস্ত্রোপচার আদপেই ঘটেনি, অভিষেক এবং তাঁর হবু স্ত্রী দুজনে অস্ত্রোপচারের অভিনয় করছিলেন। হঠাৎ করেই হাসির রোল শোনা যায়। বোঝা যায় এটা আসলে শ্যুটিং (Pre-Wedding Shoot) চলছে। ফ্লাডলাইট হাতে কয়েকজনকে দেখাও যায় ওটির মধ্যে। ক্যামেরাম্যানের পিছন থেকে মোবাইলে একজন এই সমস্ত ঘটনা শ্যুট করছিলেন। আর এইসব চলতে চলতে হঠাৎ করেই উঠে বসেন রোগী। তিনিও হাসতে থাকেন। ফের শুয়েও পড়েন তিনি।


মিশ্র প্রতিক্রিয়া


এই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের কটাক্ষ ধেয়ে আসে। কেউ কেউ লেখেন, আপনার এই সম্মানীয় পেশার প্রতি একটু শ্রদ্ধা রাখুন। আবার কেউ লেখেন যে, এটা কোনও খেলার জায়গা নয়, ওটি একটি পবিত্র স্থান যেখানে বড় বড় চিকিৎসকেরা মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনেন। আবার অনেকে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও কটাক্ষ (Pre-Wedding Shoot) করে লেখেন, 'আমি তো অবাক হয়ে যাই কীভাবে তিনি ডাক্তারির পরীক্ষায় পাশ করলেন এই বুদ্ধি নিয়ে ?'


চাকরি খোয়ালেন সেই চিকিৎসক


এই ভিডিয়োর পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. অভিষেককে ঐ সরকারি হাসপাতাল থেকে বহিষ্কার করেন। এক্স হ্যান্ডলে এই বহিষ্কারের নথি পোস্ট করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী লেখেন যে তিনি মনে করেন সরকারি হাসপাতালগুলি মানুষের সেবার কাজে ব্যবহার করা উচিত, নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য নয়। ডাক্তারদের থেকে এই ধরনের আচরণ তিনি কিছুতেই সহ্য করবেন না।


আরও পড়ুন: Ayodhya Bank: পুঁজি বলতে রামচন্দ্রে আস্থা, কানাকড়ি ছাড়াই অ্যাকাউন্ট খোলা যায় অযোধ্যার এই ব্যাঙ্কে