নয়াদিল্লি: দৈত্যাকার সাপ (large snake)। রাস্তার উপর শুয়ে রয়েছে। দেখে যেন কিছুটা বিরক্তই হলেন পথযাত্রী (traveller)। অতঃ কিম? কিছুই না। হইচই, প্যানিক কিছুটি না। বরং একেবারে নিরুদ্বিগ্ন হয়ে দুহাত (bare hands) দিয়ে দৈত্যাকার সাপটিকে হেলায় সরিয়ে (remove) দিলেন তিনি। অবাস্তব শুনতে লাগলেও এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল ট্যুইটারে। দেখে কেঁপে উঠেছেন নেটিজেনরা। সাপের ভয়ে নয়, পথযাত্রীর দুঃসাহসে। তবে ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
কী রয়েছে ভিডিওয়?
ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের অফিসার পরভিন কাসওয়ান তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ভিডিও শেয়ার করতেই হইচই পড়ে যায়। একী! কোথায় ঘটেছে এমন ঘটনা? উচ্চপদস্থ ওই আধিকারিকের ক্যাপশন থেকে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ ভারতের কোথাও ঘটনাটি ঘটেছে। সম্ভবত ওই ব্যক্তি কোথাও যাচ্ছিলেন। তাঁর রাস্তাতেই কোথাও একটা শুয়ে ছিল বিশালাকার সাপ। দেখে মোটেও ঘাবড়াননি তিনি। ভিডিও-য় দেখা যাচ্ছে, হাতে একটা টর্চ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সাপটির দিকে। তার পর দুহাতে সেটিকে ধরে সরিয়ে দিচ্ছেন। যেন খড়কুটো সরাচ্ছেন এমন ভঙ্গিই স্পষ্ট তাঁর শারীরিক ভাষায়। ক্যাপশনে অবশ্য তিনি নেটিজেনদের কাছে গোটা ঘটনাটি সম্পর্কে মতামত জানতে চেয়েছেন। এই ভিডিওতে কি বন্যপ্রাণের প্রাকৃতিক বাসস্থানের সঙ্কটের ছবিই ধরা পড়ছে না? নাকি আসলে এই ভাবে দুর্ঘটনার হাত থেকে বন্যপ্রাণটি বাঁচানোরই চেষ্টা করেছেন ওই ব্যক্তি? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার পর অন্তত ১৪ হাজার ভিউ হয়েছে ভিডিওয়। কেউ কেউ লিখেছেন, সাপটিকে গাড়ি চাপা পড়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই ওই ভাবে সরিয়ে দিয়েছেন পথযাত্রী। কারও কারও আবার প্রশ্ন, রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের ভিতরের একটা রাস্তায় গাড়ি কী করছিল? কারও আবার বক্তব্য, হেডলাইট বন্ধ করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে ভাল হত। সাপটি হয়তো সেক্ষেত্রে নিজের থেকেই সরে যেত। তবে কম-বেশি সকলেই ওই ব্যক্তির সাহসিকতায় বিস্মিত।
বিস্ময়ের বন্যপ্রাণ...
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিই সুশান্ত নন্দা নামে ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের আর এক অফিসারের পোস্ট করা একটি ভিডিওয় মজেছিল নেটদুনিয়া। সে বারও ভিডিওটি কোথাকার, তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।তবে ওই অফিসার কয়েক লাইন ক্যাপশন দিয়েছিলেন ভিডিওর সঙ্গে। তাতে লেখা, 'পছন্দের জিনিস পেতে এসব কোনও বাধা-ই নয়। মুখরোচক খাবার সাঁটিয়ে বেরোনোর পথে সামান্য মেহনত করছেন উনি (পড়ুন হাতি)। কুকুর-সহ যে কোনও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের থেকে ওদের ঘ্রাণশক্তি অনেক জোরাল। কয়েক মাইল দূর থেকে ওরা খাবারের গন্ধ পায়।' ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, একতলা একটি বাড়ির দরজা দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করছে হাতিটি। তার দেহের তুলনায় স্বাভাবিক ভেবেই আড়ে-বহরে ছোট দরজার ফ্রেম। কিন্তু তার পরও চেষ্টার ত্রুটি নেই। সম্ভবত ওই বাড়ির ভিতরে মুখরোচক কোনও খাবারের সন্ধানে ঢুকেছিল সে। কী ভাবে ঢুকেছিল সেটাও একই রকম আলোচনার বিষয়। তবে দরজা দিয়ে বেরোনোর মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি হওয়ার পর থেকে তুমুল শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে কি মানুষই বন্যপ্রাণের প্রাকৃতিক বাসস্থানে ঘাঁটি গড়ছে? তাই কি হাতির দল ঢুকে পড়ছে সেই সব জায়গায়? প্রশ্ন উঠেছিল তখন।
প্রশ্ন উঠল আবার।
আরও পড়ুন:আদিবাসীদের কলকাতা অভিযানের জের,পঞ্চমীর সকালে শহরের একাধিক রাস্তায় ব্যাপক যানজট