কলকাতা: জামাকাপড় গায়ে না হলে কেউ কেউ সেগুলি বিক্রি করে দেন। কেউ আবার সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের দেন। আবার কেউ ঘরের অন্য কাজে লাগিয়ে ফেলেন। যেমন ধরা যাক, ঘর মোছা বা আসবাব সাফ করার কাজে। এক কাজে না লাগলে আরেক কাজের লেগেই যায়। সেই কাজ ফুরোলেও দেখা যায় অন্য আরেক কাজে দরকার হয়ে পড়ছে। এমন অনেক জিনিস আমাদের বাড়িতে থাকে। আবার এভাবে কাজে লাগানোর বুদ্ধিটাও সহজে সবার আসে না। কেউ কেউ এভাবেই নানা জিনিস ব্যবহার করেন। এবার তেমনই এক ব্যক্তির দেখা মিলল। দেখা মিলল ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে। ফ্লাইটের ভিতর তাঁকে ঘুমোতে দেখা গেল অদ্ভুত কায়দায়। যা দেখে অনেকে প্রশংসাও করতে পারেন। আবার এসব বাদে শুধু মুচকি হাসিও পেতে পারে !
ইন্ডিগোর ফ্লাইটে ঘুমোনোর কায়দা
ফ্লাইটে উঠে কেউ ম্যাগাজিন পড়েন, কেউ অডিয়োভিশুয়ালে মশগুল হয়ে পড়েন। কেউ আবার ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু ঝকঝকে আলোর মধ্যে কি আর সবার ঘুম আসে ! কেউ কেউ আলোতে ঘুমোতে পারেন। কিন্তু অনেকেই পারেন না। তাদের তো অন্ধকার দরকার। অন্ধকার বললেই তো আর পাওয়া যায় না। তাই এক ব্যক্তি সেটি ব্যবস্থা করে নিলেন। যে সিটে তিনি বসেছিলেন, তার একটি হেডরেস্ট ছিল। অর্থাৎ যেখানে মাথা রাখতে হয়। সেই হেডরেস্ট একটি কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকে। সেই কাপড়টাই কাজে লাগান ওই ব্যক্তি।
হেডরেস্ট কভার নিজের মুখের উপর নিয়ে নেন। সঙ্গে চশমা ছিল। সেটাই বাকি কাজ করে দিয়েছে। চশমাটা খুলে কাপড় মুখে দিয়ে ফের চশমা পরে নেন ওই ব্যক্তি। চশমার ডাঁটিতেই আটকে ছিল হেডরেস্ট কভার। ফলে অন্ধকার হয়ে যায় সহজেই। ওই ব্যক্তির এই ছবিটাই সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। আর তাতেই পড়ে গিয়েছে শোরগোল।
চমকে গেলেন নেটিজেনরাও
ভদ্রলোকের কান্ডকারখানার ছবি পোস্ট করা হয়েছে একটি এক্স হ্যান্ডেল থেকে। একজন অবশ্য স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ওই নেটিজেনের কথায়, হেডরেস্টে থাকা জীবাণুগুলি ব্যক্তির মুখে গেল। সেই ময়লা আবার অন্য ব্যক্তির দেহেও ছড়াবে। আরেকজন অবশ্য ওই ব্যক্তির বুদ্ধির প্রশংসাই করেছেন। তাঁর কথায়, এমন বুদ্ধির জোর থাকলে মনের শান্তি কমবে না কখনও। সব জায়গাতেই নিজের মতো ব্যবস্থা করে নেওয়াও সহজ!