নয়া দিল্লি: প্রায় ৪০ বছর অতিক্রান্ত। উপদ্রবহীন জীবন কাটছিল এই দ্বীপবাসীর। আচমকাই বিস্ফোরণের আওয়াজ। যুদ্ধ কিংবা বড় কোনও অঘটনের সম্ভাবনা তো নেই! তবে? কীসের আওয়াজ, বাইরে ও কীসের আলো?
জেগে উঠেছে আগ্নেয়গিরি মাওনা লোয়া। বিশ্বের বৃহত্তম সক্রিয় আগ্নেয়গিরির তকমা ছিল তারই কাছে। তবে শেষবার জেগে উঠেছিল ১৯৮৪ সালে। তারপর থেকে ঘুমন্তই ছিল এই আগ্নেয়গিরিটি। ফের রবিবার রাতে জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিকাল সার্ভে জানিয়েছে হাওয়াইয়ের স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টা নাগাদ এই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।
এরপর ওই আগ্নেয়গিরি দিয়ে গলিত লাভা বেরিয়ে আসতে থাকে। তবে এখনও পর্বতের উপরিভাগেই দেখা যাচ্ছে এই লাভার স্রোত। এখনও নিম্নগামী হয়ে ওঠেনি। ফলে বিপদসীমার ওপরেই রয়েছে ওই এলাকাবাসী। যদিও ইতিমধ্যেই দ্বীপপুঞ্জের বাতাসে মিশেছে আগ্নেয়গিরির ছাই। এছাড়াও ছাইয়ের তন্তুও। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় লাভার কিছু অংশ বাতাসে মিশে এই ধরনের তন্তু তৈরি করে।
তবে দ্বীপবাসীদের জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। হাওয়াইয়ের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস বিগ আইল্যান্ডে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত অ্যাশফল অ্যাডভাইজরি জারি করেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, যে ছাই জমে এক চতুর্থাংশ ইঞ্চি অবধি হতে পারে। শ্বাসকষ্ট হয় এমন ব্যক্তিদের বাড়ির ভিতরেই থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠার ভিডিও-
আরও পড়ুন, সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি! নয়া নিয়মে চুক্তি সই করল একাধিক সংস্থা