নয়াদিল্লি : পোষ্য ভালবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন । কেউ কুকুর পোষে, তো কেউ বিড়াল। পাখি পুষতেও দেখা যায় কাউকে কাউকে। এ ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীর শখও কেউ কেউ রাখে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর আপনার সঙ্গে আপনার পোষ্যের সম্পর্কের সেই বন্ধনকে উদযাপন করতে জাতীয় পোষ্য দিবস (National Pet Day 2023)। ফি বছর ১১ এপ্রিল দিনটি পালন করা হয়। এটা এমন একটা দিন, যে দিনটায় পোষ্য আপনার জীবনে যে আনন্দ নিয়ে এসেছে, তা পরখ করে দেখার। এর পাশাপাশি প্রাণীকল্যাণের গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোও লক্ষ্য এই দিনটার।


এটা সত্যি যে আপনার পোষ্য আপনাকে নিঃশর্তে ভালবাসা (Unconditional Love) দিতে পারে। প্রয়োজনে আপনার যত্নও করে। শুধু কী তাই, পোষ্য কুকুর আবার বাড়িও পাহারা দেয়। বাড়ির মালিক উপস্থিত থাকুন বা অনুপস্থিত, সব ক্ষেত্রেই বাড়িঘরে চুরি-ডাকাতি ঠেকায়। কার্যত পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠে পোষ্য। তাই পাল্টা হিসাবে তাদের জন্য বিশেষভাবে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। যেদিন আমরা আমাদের আদরের পোষ্যটির আরও যত্ন নিতে পারf।


জাতীয় পোষ্য দিবসের ইতিহাস-


Colleen Paige নামে এক অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ক্যাম্পেনার রয়েছেন। তিনিই ২০০৬ সালে প্রথম এই দিনটি উদযাপন করেন। এছাড়াও তিনি পোষ্য-সম্পর্কিত অন্যান্য ছুটির দিনগুলি যেমন- ন্যাশনাল ডগ ডে ও ন্যাশনাল ক্যাট ডে-র মতো দিনগুলি শুরু করেছেন। এই দিনটি উদযাপনের অন্য একটি উদ্দেশ্য হল, গোটা দুনিয়াজুড়ে বিভিন্ন শেল্টারে যেসব জীব-জন্তু আটকা পড়ে রয়েছে, তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরা।


জাতীয় পোষ্য দিবসের তাৎপর্য-


এই দিনটি পোষ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরে। খারাপ পরিস্থিতি থেকে অবলা এই প্রাণীগুলিকে রক্ষা করা নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে পালিত হয় জাতীয় পোষ্য দিবস। প্রাথমিকভাবে আমেরিকায় দিনটি প্রথমে পালিত হয়। অন্যান্য দেশেও তা ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করেছে। এখন এটি কার্যত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, ভুললে চলবে না যে এই প্রাণীগুলির নির্দিষ্ট কোনও বাড়ি থাকে না। তারা প্রতিনিয়ত অস্বিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও তাদের যত্ন নেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা থাকলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে টিকে থাকতে হচ্ছে এই পোষ্যগুলিকে।


আরও পড়ুন ; শিকার ধরতে এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফ চিতাবাঘের, ভাইরাল ভিডিও