ব্রিটেন: বাটার চিকেন আমরা পছন্দ করি কম বেশি সকলেই। যেহেতু ঝালের পরিমান এই পদে কম থাকে তাই বাচ্চারাও অত্যন্ত খুশির সঙ্গে এই পদটি নিমেষেই খেয়ে নেয়। তবে বাটার চিকেনের স্বাদ বা প্রণালী স্থানভেদে ভিন্ন হয়। দিল্লিতে বাটার চিকেন রেসিপি এক রকম, আবার হায়দরাবাদে এর রেসিপি আবার আলাদা, সেই বাটার চিকেন যখন কলকাতার নাখোদা মসজিদ এলাকায় খাবেন, তার রান্নার পদ্ধতি স্বাদ কিন্তু একটু আলাদা।

  


রান্নার ধরন থেকে পরিবেশন, স্বাদ- সবেতেই একে অপরের থেকে কিছুটা আলাদা। শুধু আমাদের দেশ নয়, মধ্য প্রাচ্য থেকে পশ্চিমী দেশেও সমানভাবে জনপ্রিয় এই ভারতীয় ডিশটি। আমেরিকা, লন্ডনে তো ভারতীয় খাবার খেতে হলে বিদেশিদের পাতে এই আইটেমটি থাকবেই। কিন্তু সেই বাটার চিকেন খেয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এক যুবক। শুনে অবাক লাগলেও এমনটাই সত্যি। তবে ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনে। ২৭ যুবক ব্রিটিশ যুবকের মৃত্যুতে বাটার চিকেন রান্নার উপকরণ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। 


জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডে একটি টেক অ্যাওয়ে রেস্তোরাঁ থেকে বাটার চিকেন খাওয়ার পরই মৃত্যু হয় ২৭ বছর বয়সি এক যুবকের। বাড়িতে এনে বসেই খাচ্ছিলেন ওই যুবা। কিন্তু হঠাৎই বুকে চাপ অনুভব করেন এরপর মৃত্যু। 


কেন এমন অকালে চলে যেতে হল? 


ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই বাটার চিকেনের গ্রেভিটিতে উপাদান হিসেবে বাদাম বাটা ব্যবহার করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল যে, বাটার চিকেনের ঝোলটি বানাতে পেঁয়াজ, টমেটো, আদা, রসুনের সঙ্গে কাজুবাদাম/আমন্ড/চারমগজের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এদিকে ওই যুবার অ্যালার্জি ছিল বাদামে। রিপোর্টে এও জানা গিয়েছে,  বাদাম থেকে হওয়া অ্যালার্জি যাকে অ্যানাফিল্যাক্সিস বলা হয়। এটি একটি প্রাণঘাতী অ্যালার্জি। 


ডিজিটাল নিউজ পোর্টাল মিররের রিপোর্ট অনুসারে, মৃতের নাম জোসেফ হিগিনসন। পেশায় তিনি মেকানিক ছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর বাদামে অ্যালার্জি ছিল ঠিকই। কিন্তু এর আগে তিনি বাদাম দেওয়া খাবার খেয়েছিলেন তখন কিছু হয়নি যা চোখে পড়ার মতো। সমস্যা ছাড়াই সেসব খাবার খেতেন জোসেফ হিগিনসন। এমনকী পিনাট বাটারও খেয়েছেন। কিন্তু এই বাদামবাটা দেওয়া বাটার চিকেন খেয়ে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার শিকার হন।      


যদিও পুলিশের দাবি আত্মহত্যা করেছেন হিগিনসন। পুলিশ তাঁর মৃত্যুর পর তদন্ত করেছে। কিন্তু ওই টেকঅ্যাওয়ে কাউন্টারের কোনও দোষ খুঁজে পায়নি। তার পরিবারের মতে, হিগিনসন তার অ্যালার্জি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। তার বোন, এমিলি হিগিনসন জানিয়েছেন, অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের সবসময় পরিস্থিতিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। 


আরও পড়ুন, হার্ট বন্ধ হওয়ার ৫০ মিনিট পর জেগে উঠল 'মৃতদেহ'! আকস্মিক ঘটনায় হতবাক চিকিৎসকরা