ইসলামাবাদ: ৬০তম সন্তানের জন্ম হয়েছে সদ্য। কিন্তু বাবা (father) হওয়ার আনন্দ থেকে এখনই বঞ্চিত হতে চান না তিনি। তাই আরও সন্তান (child) জন্মের অপেক্ষা। ফের বিয়ের জন্য পাত্রীও (bride) খুঁজছেন প্রৌঢ়। পাকিস্তানের (pakistan) কোয়েত্তা (quetta) প্রদেশের ঘটনা। ট্যুইটারে তাঁর এই খবর ছড়াতেই মুহূর্তে ভাইরাল (viral) হয়ে পড়ে।
কী খবর?
সর্দার জান মহম্মদ খান খিলজি। গত কালই ৬০ তম সন্তানের জন্ম হয়েছে সর্দার জানের। ১ দিনের ছেলেকে লেপে মুড়ে কোলে নিয়ে ঘুরছেন তিনি। হাসি ধরছে না প্রৌঢ়ের। কিন্তু এখানেই ইতি দিতে চান না। বংশ বাড়ুক, এটাই একান্ত ইচ্ছা ৫০ বছরের প্রৌঢ়ের। বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েত্তার ইস্টার্ন বাইপাসের কাছেই বসবাস তাঁর। পেশায় চিকিৎসক সর্দার জান এর মধ্য়েই বন্ধুবান্ধবদের কাছে পাত্রী খুঁজে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, 'চতুর্থ বিয়ের জন্য বন্ধুদের এর মধ্যেই বলেছি পাত্রী খুঁজতে।' তবে ছেলে নয়, সর্দার জান চান মেয়েই বেশি হোক। একই বাড়িতে গোটা পরিবারকে নিয়ে থাকতেও তোড়জোড় করছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁর তিন স্ত্রীও আরও সন্তানজন্ম দিতে রাজি। গোটা ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়। পাকিস্তানের এই চিকিৎসকের খবরে তোলপাড় পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। সকলেরই প্রশ্ন, বর্তমানে যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া সেখানে এত বড় পরিবারের কথা কেউ ভাবতে পারেন কী ভাবে? তার উপর পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। হালেই এই নিয়েই আরও একটি খবর ভাইরাল হয়েছিল।
আর্থিক দুর্দশার খবর...
হালেই এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য উঠে এসেছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এটি সম্ভবত খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২০০৭ সাল থেকে ওই এলাকার কাতারে কাতারে মানুষ রান্নার গ্যাসের সংযোগ থেকে বঞ্চিত। বিশেষত 'হাংগু' শহরে গত দু'বছর ধরে কোনও রান্নার গ্যাসের ব্যবস্থাই নেই। এলপিজি সিলিন্ডারের ভয়ঙ্কর টানাটানিতেই এই পরিণতি, দাবি স্থানীয়দের। কোনও মতে দিন চালাতে রান্নার গ্যাসের ব্যবসায়ীরা এক 'অভিনব' উপায় বের করেছেন। কম্প্রেসর ব্যবহার করে একটি প্লাস্টিক ব্যাগে তারা এলপিজি গ্যাস ভরে দেয়। প্লাস্টিকে তিন থেকে চার কেজি গ্যাস ভরার জন্য অন্তত ঘণ্টাখানেক সময় লাগছে, জানাল স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। লিকেজ আটকাতে প্লাস্টিক ব্যাগে একটি 'নজল' ও 'ভালভ' ব্যবহার করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশজুড়ে যে গ্যাসের পাইপলাইন রয়েছে, তার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত দোকানগুলি থেকেই এই গ্যাস ভরার কাজ চলছে। রান্নার গ্যাস ভর্তি প্লাস্টিকগুলি তার পর বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারণ গ্রাহক একটি ছোট 'ইলেকট্রিক সাকশন পাম্প' ব্যবহার করে প্রয়োজনমতো সেই গ্যাস কাজে লাগাচ্ছেন। এই রকম পরিস্থিতিতে সর্দার জান মহম্মদ খান খিলজির খবর আলাদা করে নজর কেড়েছে।
আরও পড়ুন:রাজ্যের মিড-ডে মিলে এবার মুরগির মাংসও, বরাদ্দ অতিরিক্ত