নয়া দিল্লি: পণ প্রথার বলি একাধিক কনে, এমন ঘটনা প্রায়শই সংবাদ শিরোনামে আসে। এই মধ্যযুগীয় প্রথার জেরে বিয়ের সময় বা বিয়ের পরে নানা অশান্তি, মৃত্যুর মতো ঘটনাও শোনা যায়। সেই সমাজেই এই কুপ্রথার বিরুদ্ধে ডাক দিয়ে বড় কাজ করলেন এক পাত্র। বলা যায় পণপ্রথার মতো কুসংস্কারের মুখে চপেটাঘাত। 


শ্বশুরের দেওয়া ৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়ে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। রাজস্থানের জয়সলমীরের ছেলে পরমবীর রাঠোরের কীর্তি এখন ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। লাল শালুতে মুড়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকা যৌতুক বরের হাতে তুলে দিলেও  বিয়ের পর ফিরিয়ে দিয়ে পাত্রের সাফ বক্তব্য, 'আমাদের মতো শিক্ষিতরাই যদি এই কাজ করে পণপ্রথাকে উৎসাহ দেয় তাহলে যারা অশিক্ষিত তাঁরা কোনও দিনই এই কুসংস্কার থেকে মুক্তি পাবে না।' 


সিভিল সার্ভিস পড়ুয়া পরমবীর রাঠৌর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি করালিয়া নামক একটি ছোট্ট গ্রামে নিকিতা ভাটির সঙ্গে বিয়ে করেন। রীতিমতো আয়োজন করেই বিয়ে করতে যান। কনের পরিবার জামাইকে জমকালোভাবে স্বাগত জানায়। এরপর প্রচুর উপহার তুলে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। জামাই আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি রাখেননি নিকিতার মা-বাবা।                     


আরও পড়ুন, রাস্তায় প্রবল যানজট! প্যারাগ্লাইডিং করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছল ছাত্র! হতবাক সকলে!


এরপর অনুষ্ঠানের রীতি অনুযায়ী তিলক অনুষ্ঠানে লাল কাপড় মোড়া একটি উপহার তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়, যেখানে ছিল ৫ লক্ষ ৫১ হাজার নগদ। তবে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি পরমবীর রাঠৌর। ৩০ বছর বয়সী বর বিয়ের অনুষ্ঠানের পরপরই কনের পরিবারকে ওই যৌতুকের টাকা ফেরৎ দিয়ে দেন। 


পরমবীরের জবাব, "যখন তাঁরা আমাকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তখন আমি দুঃখ পেয়েছিলাম। সমাজে এই ধরনের যৌতুক প্রথা এখনও রয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী হাতে নিয়েছি ঠিকই। কিন্তু আমি অনেক পড়াশোনা করেছি, তাই আমার মনে হয়েছিল যদি শিক্ষিত লোকেরা পরিবর্তন না আনে, তাহলে কে করবে? আমার একটি বোনও আছে। যদি আমরা এই অপকর্মগুলি বন্ধ না করি, তাহলে আমরা কীভাবে সমাজে পরিবর্তন করব?' 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে