নয়াদিল্লি: একঝলক দেখলে মনে হবে তালগোল পাকানো মেঘরাশি। কিন্তু কাছে গেলে গোলমেলে বলে ঠাহর হয়। তুরস্কের আকাশে এমনই মেঘরাশিকে ঘিরে উত্তাল নেট দুনিয়া। কারণ দিনের আলোয় আকাশে ভেসে থাকা ওই মেঘরাশি সাধারণ মেঘ নয়, বরং তার আড়ালে ভিনগ্রহের যান রয়েছে বলে দৃঢ় বিশ্বাস নেট দুনিয়ার একাংশের। আর তাতেই  সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ওই দৃশ্য (Viral News)।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ওই দৃশ্যের ছবি এবং ভিডিও


সোশ্যাল মিডিয়ায় যে দৃশ্য সামনে এসেছে, তাতে বলয়াকারে তালগোল পাকানো মেঘরাশি চোখে পড়েছে। বলয়াকার এই ধরনের মেঘকে বহিজ্ঞানের ভাষায় সাধারণত লেন্টিকুলার ক্লাউড বলা হয়, ডাল বা দানাশস্যের মতো আকারের জন্যই। তুরস্কের আকাশে ওই মেঘরাশি প্রায় এক ঘণ্টা ধরে একই অবস্থায় ছিল বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। সূর্যাস্তের সময় আবার তার মাঝ বরাবর একটি গর্তও চোখে পড়ে।


এবিপি আনন্দ ওই ভিডিও এবং ছবির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল ওই ছবি এবং ভিডিও-কে ঘিরেই। জনৈক ট্যুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘একেবারে ব্যাতিক্রমী দৃশ্য। লেন্টিকুলার ক্লাউড চোখে পড়ল তুরস্কে, ভিনগ্রহী যান বলেও দাবি করছেন অনেকে’। তুরস্কের বারসায় ওই মেঘরাশি চোখে পড়ে বলে জানা গিয়েছে (Rare Cloud Formation)।



আরও পড়ুন: Shiladitya Chowdhury: প্রশ্ন করায় ভরাসভায় মাওবাদী তকমা জুটেছিল, ১২ বছর ধরে অগ্নিপরীক্ষা দিচ্ছেন শিলাদিত্য


বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তুরস্কের আকাশে ভিনগ্রহী যান ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে রব ওঠে। যদিও কিছু ক্ষণ পর তুরস্কের আবহাওয়া বিভাগ পরে এ নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে। তারা জানায়, ভিনগ্রহী যান নয়, ওই মেঘরাশি আসলে লেন্টিকুলার ক্লাউড।


লেন্টিকুলার ক্লাউড হল সেই মেঘরাশি, যার গঠন ঢেউ খেলানো বা পাকানো


বিজ্ঞানের ভাষায় লেন্টিকুলার ক্লাউড হল সেই মেঘরাশি, যার গঠন ঢেউ খেলানো। ভিনগ্রহী যান বা একরকম ভাবে প্লেটের মতো দেখতে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০০০ বা ৫০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত এমন মেঘের দেখা মেলে। পাহাড় বা পার্বত্য এলাকায় বাতাসের গতিবেগে ওঠানামার ফলে মেঘের এমন আকার তৈরি হয়। মূলত শীতকালেই চোখে পড়ে। তার বাইরেও বছরের যে কোনও সময় দেখা যেতে পারে। এই ধরনের মেঘ চোখে পড়ার অর্থ, পরদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।