লন্ডন: অ্যালবার্ট আইনস্টাইন (albert einstein) নাকি বরিস জনসন (boris johnson)? কার সঙ্গে তার মিল বেশি,খুঁজছে সোশ্যাল মিডিয়া (social media)। যাকে নিয়ে আলোচনা তার অবশ্য এসবে বিশেষ কিছু এসে যায় না। নেটিজেনরা কেন এত মাতামাতি করছে, সেটাও বোঝে না দেড় বছরের লায়লা ডেভিস। কিন্তু সে যে খানিকটা আলাদা,সেটা কি আয়নার সামনে দাঁড়ালে টের পায়?
কী হয়েছে?
আলাদা কীসে? ব্রিটেনের সাফোকের গ্রেট ব্লেকেনহ্যাম-র বাসিন্দা ডেভিস পরিবারের সদস্যরা লায়লার জন্মের পরই লক্ষ্য করেছিলেন, মেয়েটার চুলটা কেমন যেন উস্কোখুস্কো। প্রথমে পাত্তা দেননি। কিন্তু এক বছর হতে না হতে বুঝতে পারলেন, লায়লার চুল বাকিদের থেকে একদম আলাদা। আঁচড়ালেও সোজা ও পরিপাটি হয় না। অসম্ভব শুকনো, খোঁচা খোঁচা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় খুদেকে। জুলাইয়ের গোড়াতেই জানা যায়, লায়লা এক বিরল রোগের শিকার। নাম আনকর্মটেবল হেয়ার সিন্ড্রোম (uncomfortable hair syndrome) বা ইউএইচএস। এতে চুল অসম্ভব শুষ্ক হয়ে যায়। খোঁচা খোঁচা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। চিরুনি হোক বা অন্য যে কোনও উপকরণ, কিছু ব্যবহার করেই চুল সোজা করা যায় না।
মেয়ের অসুখের কথা জানতে পেরে প্রথম কয়েক দিন ভেঙে পড়েছিলেন মা শার্লট। কিন্তু পরে খেয়াল করলেন,লায়লার চুল যত বড় হচ্ছে তত তার সঙ্গে একটা অদ্ভুত মিল পাওয়া যাচ্ছে অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের। দুজনের চুলই অবিন্যস্ত। কেমন যেন দাঁড়িয়ে থাকে। ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই ভাইরাল। নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে জোরাল চর্চা, আইনস্টাইন নাকি ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, কার সঙ্গে বেশি মিল খুদের? শার্লট এখন বলছেন,'রোগটা অত্যন্ত বিরল। গোটা পৃথিবীতে একশো জনের মতো আক্রান্ত। তাই বোধহয় ভেবেছিলাম, ওর এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। সেই ভেবেই ওকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে দেরি করেছি।'
কী হয় এতে?
মার্কিন সরকারের জেনেটিক অ্যান্ড রেয়ার ডিজিজ ইনফরমেশন সেন্টার বলছে,রোগটি কিছু নির্দিষ্ট জিনের গঠনগত পরিবর্তনের ফলে হয়। প্রথম ইউএইচএস আক্রান্তের হদিস পাওয়া গিয়েছিল ১৯৭৩ সালে। এমনিতে এর কোনও চিকিৎসা নেই। তবে বয়ঃসন্ধির চুলের হাল অনেকটাই ভালো হয়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে কোনও সমস্যাই থাকে না।
লায়লার কী হবে এখন জানা নেই। তবে ইউএইচএস-র দৌলতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে সে।
আরও পড়ুন:মেয়েদের সম্মান করি, তবে সবাই এক নয়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়