নয়াদিল্লি: আড়ালে আবডালে নানা কথা বললেও, সামনাসামনি তাঁকে সমীহ করে চলেন সকলেই। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই যেমন, তাঁকে নিয়ে কৌতূহলও কম নয় নেহাত। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের দিকে নজর গোটা বিশ্বের। যন্ত্রমেধার বাড়বাড়ন্ত থেকে ‘নিস্তার পেলেন না’ সেই সেই পুতিনও। যন্ত্রমেধার দৌলতে বানানো, নিজের প্রতিরূপের মুখোমুখি হলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার কাছ থেকে উড়ে আসা প্রশ্নের জবাবও দিলেন। (Vladmir Putin AI Double)
সম্প্রতি প্রশ্নোত্তরমূলক একিট অনুষ্ঠানে অংশ নেন পুতিন। সেখানে ভিডিও-য় নিজেরই AI প্রতিরূপের মুখোমুখি হন পুতিন, যার চেহারা, গলার স্বর, এমনকি আচরণও একেবারে পুতিনেরই মতো। টেলিভিশনের পর্দায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও দেখলে, দু’জনের মধ্যে পুতিন কে, তা বুঝতে হিমশিম খাবেন যে কেউ। তাই ওই বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। বিশেষ করে নিজের AI প্রতিরূপকে দেখে পুতিনের প্রতিক্রিয়া নজর কেড়েছে সকলের।
প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন আচমকা ভিডিও বার্তা ভেসে ওঠে সামেনর একটি স্ক্রিনে, তাতেই আবির্ভূত হয় পুতিনের AI প্রতিরূপ। সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির পড়ুয়া হিসেবে নিজের পরিচয় দেয় সে। এর পর সরাসরি পুতিনের উদ্দেশে প্রশ্ন ছোড়ে, “আপনার কি অনেক বডি ডাবল রয়েছে?” এমনিতে পুতিনকে নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। শারীরিক অসুস্থতা লুকোতে এবং প্রাণহানি থেকে বাঁচতে, হুবহু নিজের মতো দেখতে বডি ডাবল নিয়ে পুতিন ঘোরেন বলে গুঞ্জন শোনা যায় প্রায়শই। স্বভাবতই পুতিনের AI প্রতিরূপের প্রশ্ন শুনে হাসি আটকাতে পারেননি কেউ। একই সঙ্গে পুতিন কী জবাব দেন, তাও জানতে আগ্রহী ছিলেন সকলে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন যদিও নিজের AI প্রতিরূপকে দেখে একটুও বিচলিত হননি। বরং স্বভাবসিদ্ধ ঢংয়েই প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি, তোমাকে আমার মতো দেখতে। আমার কণ্ঠেই কথা বলছো তুমি। কিন্তু আমি অনেক ভেবে দেখেছি, একজনকেই আমার মতো দেখতে হতে পারে, আমার কণ্ঠ একজনের গলাতেই শোনা যেতে পারে, সেই ব্যক্তি শুধুমাত্র আমিই।”
যন্ত্রমেধা অত্যধিক ব্যবহারে কী বিপদ হতে পারে, তা-ও পুতিনের কাছে জানতে চায় তাঁর AI প্রতিরূপ। তাতেও হাসির রোল ওঠে। জবাব দিতে গিয়ে হালকা মেজাজে দেখা যায় পুতিনকেও। নিজের AI প্রতিরূপের দিকে আঙুল তুলে পুতিন বলেন, “একটা কথা না বললেই নয়, এটাই আবার প্রথম ডাবল।” তাঁকে নিয়ে গুঞ্জনের প্রেক্ষিতেই পুতিন একথা বলেন।
প্রত্যেক বছরের শেষ দিকে এমন চার-পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন পুতিন।ফোনে, ভিডিও বার্তায় এবং সমানসামনি রুশ নাগরিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি, অভাব-অভিযোগ শোনেন। তবে এর আগে এমন অতিথিকে চাক্ষুষ করেননি পুতিন। এমন হালকা মেজাজে পুতিনকে দেখতে পাওয়ায় বাড়তি পাওনা হল এ বছর।