ভোপাল: 'পাত্রী চাই' বিজ্ঞাপন দিতে ভরসা কিনা ই-রিকশা (E Rickshaw Hoarding)? অদ্ভূত নয়, বাস্তবে এমন করে দেখিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের যুবক দীপেন্দ্র রাঠৌর। বিবাহযোগ্য যুবতীর সন্ধান পেতে নিজের ই-রিকশাতেই বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং টাঙিয়েছেন। নিজের সম্পর্কে তথ্য ও বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যও স্পষ্ট করে লিখে দিয়েছেন সেই বিজ্ঞাপনে। দামোহ শহরের এই ঘটনায় শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ আবার বিজ্ঞাপন-সমেত ই-রিকশার ছবি তুলেও আলোচনা করছেন।


কী হল?
দীপেন্দ্র রাঠৌরের বক্তব্য, তিনি বিয়ে করতে চান। কিন্তু 'সমাজে মহিলার বড় অভাব', বক্তব্য তাঁর। তাই এখনও পর্যন্ত বিয়ে করা হয়নি। 'পাত্রী চাই' বিজ্ঞাপনে তথ্য় দিতে গিয়ে যুবকের দাবি, এক্ষেত্রে ধর্ম বা জাত কোনও অন্তরায় নয়। যে কোনও মহিলাই তাঁর কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু এভাবে ই-রিকশায় হোর্ডিং? যুবকের ব্যাখ্যা, পাত্রীর খোঁজে 'ম্যারেজ গ্রুপ' নামে একটি দলে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। জীবনসঙ্গীর খোঁজ পাননি। উপায় না দেখে তাই নিজের ই-রিকশার উপরই ভরসা করতে হয়েছে তাঁকে। কাজের জন্য দামোহ-র পথেঘাটে দিনের নানা সময়ে ঘুরে বেড়াতে হয় দীপেন্দ্রকে। হোর্ডিংটি কারও না কারও নজরে পড়ার কথা, সেখান থেকে যদি...'সে আসে কাছে।'


বিশদ...
পাত্রীর খোঁজে এতটাই হন্যে তিনি যে দামোহ-র বাইরেও কোনও মহিলার সঙ্গে বিয়েতে আপত্তি নেই। আর পাত্রীর যাতে তাঁর সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু তথ্য জানা থাকে, সে জন্য হোর্ডিংয়ে নিজের উচ্চতা, ওজন, জন্মতারিখ, জন্মসময়, রক্তের গ্রুপ, শিক্ষাগত যোগ্যতা-সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে রেখেছেন দীপেন্দ্র। এভাবে পাত্রীর খোঁজে বাবা-মাও তাঁর পাশে ছিলেন, জানালেন যুবক। বললেন, 'মা-বাবা পুজো-আচ্চা নিয়ে ব্যস্ত। আমার জন্য পাত্রী খোঁজার সময় নেই। তাই আমাকেই একাজ করতে হবে।' যিনি তাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বাছবেন, তাঁকে সব সময় আনন্দে রাখবেন, জানালেন দীপেন্দ্র। খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতে নেটিজেনদের অনেকে কৌতূহল প্রকাশ করেন। বিজ্ঞাপনে এমন অভিনবত্ব তাক লাগিয়েছে অনেককে। তবে যুবকের কোনও দিকে খেয়াল নেই। রাস্তাঘাটে যখনই তাঁকে লোকজন হোর্ডিং-সহ দেখতে পাচ্ছেন, কম-বেশি সকলেই হয়তো কিছুটা আড়চোখে মাপছেন। দীপেন্দ্র অবশ্য লক্ষ্যে অবিচল। মনের মতো পাত্রীর কাছে পৌঁছে যেতে এই ই-রিকশা এবং হোর্ডিংই ভরসা তাঁর। সঙ্গে স্থির বিশ্বাস, একদিন তিনি পাবেন তাঁকে।


আরও পড়ুন:আলোচনায় কি গলল বরফ? পদ্মমুখী হচ্ছেন না কমলনাথ?