Viral Video: সহপাঠীদের হাতে আক্রান্ত পড়ুয়া। গাড়ির ভিতর ঢুকিয়ে নাগাড়ে চলল চড়-থাপ্পড়। এক্স মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও। এই ঘটনা ঘটেছে লখনউতে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত পড়ুয়া এবং বাকি অভিযুক্তরা লখনউ অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ, আক্রান্ত হয়েছেন আইনের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র। তাঁর নাম শিখর মুকেশ কেসরওয়ানি। অভিযোগ, তাঁর সহপাঠীরা তাঁদের অন্তত '৫০-৬০ বার' চড়-থাপ্পড় মেরেছেন। গত ২৬ অগস্ট এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। 

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন আরেক বন্ধুর সঙ্গে তাঁর গাড়িতেই ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে গিয়েছিলেন আক্রান্ত পড়ুয়া। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি এখনও। কেন ওই পড়ুয়াকে এভাবে মারধর করা হয়েছে তাও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। আক্রান্ত শিখরের বাবা মুকেশ কেসরওয়ানি অভিযোগ করেছেন, আয়ুষ যাদব, জাহ্নবী মিশ্র, মিলয় ব্যানার্জি, বিবেক সিং এবং আর্যমান শুক্লা - এই পাঁচজন তাঁর ছেলেকে মারধর করেছেন। এই পাঁচজনের নামে এফআইআর- ও দায়ের করা হয়েছে। আক্রান্তের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই এই পাঁচ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এভাবে আক্রান্ত হওয়ায় শিখর ভীষণভাবে আতঙ্কিত, আর ক্লাস করতেও যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত পড়ুয়ার বাবা। তিনি এও জানিয়েছেন, ১১ অগস্ট লিগামেন্টে অপারেশন হয়েছে শিখরের। লাঠি নিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। জাহ্নবী মিশ্র এবং আয়ুষ যাদব অন্তত ৫০ থেকে ৬০ বার চড় মেরেছেন শিখরকে, এমনটাই অভিযোগ তাঁর বাবা মুকেশ কেসরওয়ানির। এমনকি তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন অভিযোগ জানাতে তখন তাঁকে এবং তাঁর মা-বাবাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে অভিযুক্তরা, দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়, মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন মুকেশ। 

আক্রান্তের বাবার অভিযোগ, গত ২৬ তারিখ শিখরকে তাঁর আরেক বান্ধবী সৌম্যা সিং যাদব নিজের গাড়ি করে ক্যাম্পাসে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে পার্কিং লটে পৌঁছতেই অভিযুক্তরা শিখরকে দেখতে পান এবং জানান যে তাঁদের কিছু কথা রয়েছে শিখরের সঙ্গে। সৌম্যার গাড়িতেই বসেন সকলে। এরপর প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে অত্যাচার। চড়-থাপ্পড়ের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় শিখরকে গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ তাঁর বাবার। এই পুরো সময়টায় বিবেক সিং এবং মিলয় ব্যানার্জি সমস্ত ব্যাপারটা ভিডিও করেন এবং ক্যাম্পাসে অন্যান্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন বলেও অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত পড়ুয়ার বাবা। শিখরের ফোন ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকি তিনি ক্যাম্পাসে গেলে তাঁকেও সেখানে আর না যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আক্রান্তের বাবা।