Offbeat News: এক সময় ব্যাঙ্কের সাফাই কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন স্টেট ব্যাঙ্কে।  পরবর্তীকালে  দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কেই পেয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজারের পদমর্যাদা। জীবনের দশা বদলে দিশা দেখিয়েছেন প্রতীক্ষা টোন্ডওয়ালকর।


Pratiksha Tondwalkar: জীবনযুদ্ধের প্রেরণা এই মহিলা
পরিবারের হাল খুব একটা ভাল ছিল না। সেই কারণে ১৬ বছর বয়সেই পড়াশোনায় ইতি টেনে বিয়ের পিড়িতে বসেন প্রতীক্ষা। স্বামী সদাশিব কাড়ুর সঙ্গে চলে আসেন মুম্বইয়ে। যেখানে স্টেট ব্যাঙ্কে বই বাঁধাইয়ের কাজ করতেন সদাশিব। এক সময় প্রথম সন্তান জন্মানোর পরই গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দম্পতি। যা বদলে দেয় প্রতীক্ষার জীবন। ঘটনাক্রমে বাড়ি যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সদাশিব। যা কেড়ে নেয় তাঁর জীবন। মাত্র ২০ বছর বয়সে স্বামীকে হারিয়ে সন্তানের দায়িত্ব এসে পড়ে প্রতীক্ষার ওপর।  সংসার টানতে সাফাইকর্মীর কাজ নিতে হয় প্রতীক্ষাকে। যে ব্যাঙ্কে স্বামী কাজ করতেন, সেখানেই ঝাড়ু হাতে শুরু হয় জীবনের লড়াই।


Offbeat News: সকালে ঝাড়ু- বিকেলে বই
প্রতীক্ষা জানিয়েছেন, সন্তানের জন্য সকালে ব্যাঙ্কে ২ ঘণ্টা সাফাইকর্মীর কাজ করতেন তিনি। পরে সারাদিন ছোটখাটো কাজ করেই চালাতেন সংসারের হেঁশেল। যদিও নজর ছিল আরও ওপরে। রোজ ব্যাঙ্কে অফিসকর্মীদের দেখে ভালোই লাগত প্রতীক্ষার। কীভাবে অফিসে কাজ পাওয়া যায়, তা নিয়ে খোঁজ শুরু করে দেন তিনি। সেই থেকেই মনে জেদ চেপে যায় প্রতীক্ষার। আত্মীয় ও ব্যাঙ্কের সহায়তায় ফের পড়াশোনা শুরু করে দেন । পরিবারের লোকজনই তাঁর বইয়ের খরচ জোগান। সেই চেষ্টা বিফলে যায়নি। ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হন এই মহিলা।


Pratiksha Tondwalkar: কীভাবে বদলে গেল সবকিছু ?
তবে দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হয়েও মনে থেকে যায় শঙ্কা। কারণ ক্লাস টেন পাশ করে যে অফিসে ভাল কাজ পাওয়া যাবে না, ততদিনে তা বুঝে গিয়েছিলেন প্রতীক্ষা। তাই যোগ দেন নাইট কলেজে। বিখরোলিতে শুরু হয় তার পড়াশোনা। পরবর্তীকালে সাইকোলজিতে গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করেন এই মহিলা। এরপর ব্যাঙ্কে পান ক্লার্কের কাজ। শুরু হয় উত্তরণের পথ। ফের বিয়ে করেন প্রতীক্ষা। ব্যাঙ্কের পিয়ন প্রমোদ টোন্ডওয়ালকরের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি।  ২০০৪ সালে আসে সেই দিন, যখন ট্রেনি অফিসার পদে নিযুক্ত হন প্রতীক্ষা। পরবর্তীকালে পান স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার পদমর্যাদা। এক সময় যে ব্যাঙ্কে ঝাড়ু দিতেন, সেখানেই পান এই মান।