নয়াদিল্লি: সবুরে মেওয়া ফলে, থুড়ি সবুরে হাতির শুঁড় পৌঁছয় মগডালেও (Elephant Struggles)। দাঁড়িয়ে থেকে তা চাক্ষুষ করলেন গ্রামবাসীরা। তবে হাতের মোয়া তো নয়, গাছপাকা কাঁঠালের (Elephant Plucks Jackfruit) জন্য বিস্তর খাটা-খাটুনিও গেল গজরাজের। গাছ ধরে নাড়া দেওয়া থেকে গাছে ওঠার চেষ্টা, কোনও কিছুই বাদ যায়নি। শেষ পর্যন্ত কাজে এল শুঁড়খানি। তাতে পাকিয়ে ধরেই মগডাল থেকে পেড়ে আনা গেল ঝাড়বাতির মতো ঝুলে থাকা গোছাসুদ্ধ কাঁঠালকে (Viral Video)। 


গাছ থেকে কাঁঠাল পাড়ছে হাতি, ভিডিও ভাইরাল মুহূর্তেই


সোশ্যাল মিডিয়ায় আইএএস অফিসার বলে নিজের পরিচয় দিয়েছেন সুপ্রিয়া সাহু। তিনিই হাতির কাঁঠালপাড়ার দৃশ্য তুলে ধরেছেন ট্যুইটারে। ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওয়, প্রথমে গাছ ধরে নাড়া দিতে দেখা যায় হাতিটিকে। তার পর দু’পা উঁচিয়ে গাছে ওঠারও চেষ্টা করে সে। কিন্তু কিছুতেই কাঁঠালের নাগাল মিলছিল না। তার পর গাছের কাণ্ডে দুই পা ঠেসা দিয়ে শুঁড়খানিই পাকিয়ে উপরে তুলতে থাকে সে। প্রথম একবার-দু’বার ব্যর্থ হলেও, শেষ পর্যন্ত গোছাসুদ্ধ কাঁঠাল আটকা পড়ে তার শুঁড়ে। তাতেই সবসুদ্ধ ছিঁড়ে নামিয়ে আনে তিন-চারটি কাঁঠাল। 



আরও পড়ুন: Har Ghar Tiranga: তেরঙ্গায় শোভিত ফেসবুক-ট্যুইটার DP, স্বাধীনতার অমৃতকাল উদ্‌যাপন প্রধানমন্ত্রীর


ভিডিওটি ঠিক কোথাকার, তা জানা যায়নি নির্দিষ্ট করে। তবে মোবাইলের ক্যামেরায় সেটি তোলা হয়েছে বলে ঠাহর হয়। ভিডিওয় অনেকের কথাও শোনা যাচ্ছে। দূর থেকে দাঁড়িয়ে হাতির কাণ্ড-কারখানা দেখছিলেন তাঁরা। শেষমেশ শুঁড়ে পাকিয়ে যখন কাঁঠাল ছিঁড়তে সফল হয় গজরাজ, হাততালি দিয়ে, হল্লা করে তাকে অভিবাদনও জানাতে শোনা যায় গ্রামবাসীদের। 


ভিডিওটি শেয়ার করে ট্যুইটারে সুপ্রিয়া লেখেন, ‘মানুষের কাছে যেমন আমের কদর, তেমনই হাতির কাছে কাঁঠালের কদর। কাঁঠাল পেড় আনতে বদ্ধকরিকর হাতির সাফল্যে মানুষ জন হাততালি দিয়ে যে ভাবে হাতিকে অভিবাদন জানালেন, তাও মন ভরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট’।


এক আইএএস অফিসার ট্যুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করেন


সুপ্রিয়ার হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার পর ৭ হাজারের বেশি মানুষ, সেটি ‘লাইক’ করেছেন। ভিডিওটি দেখেছেন ১ লক্ষ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ। সেটি আবার রিট্যুইট করেছেন ১১০০-র বেশি ট্যুইটার ব্যবহারকারী। হাতিটির ধৈর্য এবং ইচ্ছাশক্তিরও প্রশংসা করেছেন অনেকে। অত উঁচু থেকে যে কাঁঠাল পেড়ে আনতে পারল হাতিটি, তাতে আবার হতবাকও কেউ কেউ।