Viral News: মহাকুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করে সারা দেশ জুড়ে এখন তুমুল হইচই। প্রয়াগরাজ এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আর এখানেই দেখা মিলেছে আইআইটি বাবার (IIT Baba), যার ভাল নাম অভয় সিং। আইআইটি থেকে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে এখন জীবনের পরমার্থের সন্ধানে কুম্ভমেলায় এসেছেন তিনি। আর তাঁকে (Viral News) দেখার পর থেকেউ সংবাদমাধ্যম, সমাজমাধ্যম জুড়ে তুমুল চর্চা চলছে। টেলিভিশনে, সমাজমাধ্যমে তাঁকে দেখার পর থেকেই উতলা হয়ে পড়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন।


তাঁর বাবা করণ গ্রেওয়াল হরিয়ানার ঝাঁঝরের একজন আইনজীবী, কাতর অনুরোধে জানিয়েছেন, 'আমাদের পরিবারের সকলেই চায় যেন অভয় বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু এত কিছু অর্জনের পরে তাঁর পক্ষে বাড়ি ফিরে আসা সত্যিই কঠিন'। তাঁর বাবা জানিয়েছেন যে অভয় সিং বরাবরই পড়াশোনায় ব্যতিক্রমী মেধাবী ছিলেন, আইআইটি বম্বে থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পরে ডিজাইনের উপরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি এবং নয়াদিল্লি, কানাডায় কাজ করেন কিছুদিন। তারপরেই কানাডা ছেড়ে ভারতে চলে আসেন অভয়, শীতের সময়টা তিনি সিমলা, মুসৌরি, ধরমশালাতে ঘুরে ঘুরে কাটান।


সংবাদমাধ্যমকে অভয় সিংয়ের বাবা জানান, 'তার পরেই অভয় সন্ন্যাসী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর সবসময়ই অধ্যাত্মের প্রতি একটা ঝোঁক ছিলই।' করণ গ্রেওয়ালকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ছেলের কথা হয়েছে কিনা, তিনি জানান, 'আমার সঙ্গে আজ থেকে ৬ মাস আগে শেষবার কথা হয়েছিল তাঁর। এরপরে অভয় আমাকে ব্লক করে দেয় এবং আমার সঙ্গে সমস্ত রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলে। আমি শুনেছিলাম ও হরিদ্বারে আছে, সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেও চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি। আর এখন সমাজমাধ্যম সংবাদমাধ্যমে অভয় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে'।


সংবাদমাধ্যমকে অভয় সিংয়ের বাবা স্পষ্টই জানান যে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ অভয়ের মা একান্তই চান যেন তিনি ফিরে আসেন, পরিবারের দেখভাল করেন। কিন্তু অভয় জানিয়ে দিয়েছে যে সন্ন্যাসী হওয়ার পরে আর তা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, 'প্রত্যেকেরই নিজের নিজের জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে, আমি কাউকে জোর করতে পারি না। আমি আরও একবার চেষ্টা করব, তবে আমার এখনও মনে হয়, এই অবস্থায় পৌঁছানোর পরে সে আমার কোনো কথাই শুনবে না'।


আরও পড়ুন: IITian Baba at Mahakumbh: ইঞ্জিনিয়ার হয়ে মহাকাশ গবেষণায় পদার্পণ, শেষে মহাদেবের পায়ে সমর্পণ নিজেকে, মহাকুম্ভে নজর কাড়লেন IIT-বাবা