SBI Bank Manager: ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর জেলার অন্তর্গত মাস্তুরি গ্রাম। সেই গ্রামেরই এক স্টেট ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে সেখানকার এক স্থানীয় কৃষক ঋণের আবেদন (Bank Loan) নিয়ে গিয়েছিলেন। আর সেই ম্যানেজার তাঁকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর থেকে পরের পর দেশি মুরগির কোনো না কোনো রেসিপি খেয়ে গিয়েছেন দিনের পর দিন। ১২ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই গরীব কৃষকের ৩৯ হাজার টাকার দেশি মুরগি একাই আত্মসাৎ করেছেন সেই ম্যানেজার (SBI Bank Manager)। শুধু তাই নয়, এরপরেও ১২ লাখ টাকা ঋণের অঙ্কের ১০ শতাংশ তাঁকে নগদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সেই ম্যানেজার। আর তারপরই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় ম্যানেজারের বিরুদ্ধে 'ভুখ হরতাল' করার ফতোয়া জারি করেন সেই গরীব কৃষক। আদপে কী ঘটেছে ?


ছত্তিশগড়ের মাস্তুরি জেলার এক পোলট্রি ফার্মের মালিক, কৃষক রূপচাঁদ মনহর নিজের ব্যবসাকে বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন এবং সেই পরিকল্পনা করে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন ঋণের আবেদন করতে। মাস্তুরির স্টেট ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ঋণ নেওয়ার কথা ভাবেন সেই কৃষক। তিনি একথা কখনও কল্পনাতেও আনেননি যে নিজের পোলট্রি ব্যবসাকে বাড়ানোর জন্য ঋণের আবেদন করতে গিয়ে এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে তাঁর ব্যবসার সমস্ত মুরগি এভাবে খোয়াতে হবে !


সেই কৃষক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে ঋণের আবেদনের মাত্র ২ মাসের মধ্যেই সেই ম্যানেজারকে ১০ শতাংশ কমিশন দেওয়ার জন্য নিজের পোলট্রি ফার্মের অনেকগুলি মুরগি বিক্রি করে দেন সেই রূপচাঁদ কৃষক। আর সেই সময় ব্যাঙ্ক ম্যানেজার কৃষককে জানান যে এই ঋণ মঞ্জুর করতে গেলে তাঁকে প্রতি শনিবার একটি করে দেশি মুরগির ঝোল রেঁধে খাওয়াতে হবে। রূপচাঁদ জানিয়েছেন যে এভাবে পোলট্রির সমস্ত মুরগি শেষ হয়ে যায় যেগুলির মোট বাজারমূল্য ছিল ৩৮,৯০০ টাকা। রূপচাঁদ বলেন যে একটি গ্রাম থেকে তিনি পোলট্রিতে দেশি মুরগি কিনে এনে রাখতেন এবং সেই মুরগি কেনার সমস্ত রসিদ তাঁর কাছে এখনও আছে। এই মুরগিই তিনি রেঁধে ম্যানেজারের কাছে পাঠাতেন।


কিছুদিনের মধ্যে সেই কৃষক বুঝতে পারেন যে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার কোনোভাবেই তাঁর ঋণ মঞ্জুর করবেন না। শুধু শুধু তাঁর থেকে সুবিধে নিচ্ছেন তিনি, তাঁকে এভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে যেতে হবে। এমনকী যে মুরগি তিনি নিজে খেয়েছেন, তার টাকাও তিনি দিচ্ছেন না। কোনো উপায়ান্তর না দেখে রূপচাঁদ মনহর মহকুমা শাসকের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর সমস্ত টাকা ফেরত চেয়েছিলেন রূপচাঁদ। আর আধিকারিকরা এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিলে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্তও জানান তিনি। তাঁর দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনে বসার হুমকিও দেন সেই কৃষক। রূপচাঁদ জানিয়েছেন, এই অপরাধের বিহিত না হলে মাস্তুরির সেই স্টেট ব্যাঙ্কের শাখার সামনেই তিনি আত্মহত্যা করবেন।  


আরও পড়ুন: IIT Placements: বছরে ৪.৩ কোটি বেতন ! IIT পড়ুয়াকে রেকর্ড প্যাকেজে চাকরি দিল এই সংস্থা