নয়া দিল্লি: মেয়ের বিয়েতে নিজের সাধ্যমতো খরচ করেছিলেন বাবা। কিন্তু খাবার কম পড়েছিল শেষে, এই অজুহাত দেখিয়ে বিয়েই ভেঙে দেয় পাত্রপক্ষ। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয় বিয়ে বাড়ির মধ্যে। জল এতদূর গড়ায় যে বিয়ে ভাঙার বিষয়টি নিয়ে শেষে থানায় যায় পরিবার। সেখানে গিয়ে অভিযোগও দায়ের করে।                                     


এরপরই মাঠে নামে পুলিশ। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) অলোক কুমারের মতে, রাহুল প্রমোদ মাহাতো এবং অঞ্জলি কুমারী - দুজনেই বিহারের বাসিন্দা - লক্ষ্মী হলে বিয়ে করার কথা ছিল। বিয়ের হলে দম্পতি তাদের আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষ করার আগেই আত্মীয়স্বজন এবং অতিথিদের জন্য পরিবেশিত খাবারের অভাবের অভিযোগে বরের পরিবার হঠাৎ করে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।  


পুলিশের তরফে বলা হয়, 'বেশিরভাগ আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছিল। কেবল মালা বিনিময় বাকি ছিল। খাবারের অভাব নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল, যার পর বরের পক্ষ বিয়েতে এগিয়ে যেতে চাননি'। ডিসিপি বলেন, বরের পরিবারের আচরণে বিরক্ত হয়ে কনে এবং তার পরিবার সাহায্যের জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপর কনে জানিয়েছেন পাত্র এবং তিনি বিয়েতে রাজি আছেন কিন্তু পাত্রের পরিবার রাজি হচ্ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, কনের পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের জন্য বর এবং তার পরিবারকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। 


আরও পড়ুন, হিন্দি গানে নাচে মত্ত পাত্র! রেগে অগ্নিশর্মা পাত্রীর বাবা, মেয়ের চোখের জলের তোয়াক্কা না করেই ভাঙলেন বিয়ে


ডিসিপির তরফে বলা হয়েছে, বিষয়টি সমাধানে আমরা সাহায্য করার পর বরের পরিবার বিয়ে করতে রাজি হয়। কনে বিয়ের হলে ফিরে গেলে আবারও ঝগড়া হতে পারে বলে উদ্বেগ ছিল আমাদের। তাই আমরা তাদের আনুষ্ঠানিকতা (মালা বিনিময়) সম্পন্ন করে থানায় বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছি। 


তিনি আরও বলেন, পুলিশ মহিলার ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।                                         



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে