নয়াদিল্লি: নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে কুমিরের পেটে মহিলা। আবারও ইন্দোনেশিয়াতে এমন ঘটনা ঘটল। কুমিরের পেট কেটে শেষে দেহাংশ উদ্ধার করলেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বার বার ইন্দোনেশিয়া থেকে কুমিরের হামলার ঘটনা সামনে এসেছে, তাতেই নয়া সংযোজন এই ঘটনা। যে কুমিরটির পেট কেটে দেহাংশ উদ্ধার হয়, সেটি বিরল প্রজাতির কুমির ছিল বলেও জানা গিয়েছে। (Viral News)


বুধবার ইন্দোনেশিয়ার পূর্বের মালুকু দ্বীপপুঞ্জের ওয়ালি গ্রাম থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ৫৪ বছর বয়সি হালিমা রহকবো গ্রামের নদীতে স্নান করতে যান। সাঁতার কাটার ফাঁকে নদীতে ঝিনুকের খোঁজ করছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই তাঁর উপর হামলা করে একটি কুমির। বেঁচে ফিরতে পারেননি হালিমা। (Indonesia Crocodile Attack)


হালিমার প্রতিবেশী রুস্তম ইলিয়াস জানিয়েছেন, বেলা বাড়লেও বাড়ি ফেরেননি হালিমা। এর পর তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়রা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নদীর পাড়ে হালিমার চপ্পল পড়ে থাকতে দেখে ছুটে যান তাঁরা। তড়িঘড়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। নদীতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে কুমিরটির খোঁজ মেলে। তখনও সে হালিমার দেহ চিবোচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর পর গুলি করে হত্যা করা হয় কুমিরটিকে। 


এর পর সকলে মিলে কুমিরটিকে ডাঙায় তোলা হয়। দেখা যায় কুমিরটি প্রায় ১২ ফুট দীর্ঘ। হালিমার দেহাংংশ উদ্ধার করতে এর পর কাটা হয় কুমিরটির পেট। জানা গিয়েছে, হালিমার হাত ও পা প্রথমে গিলে নেয় কুমিরটি। এর পর গোটা শরীর উদরস্থ করে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, দূর থেকে নদীতে কিছু একটা ঝটপট করতে দেখেন তিনি। কিন্তু কুমির কাউকে কামড়ে ধরতে পারে বলে মাথায় আসেনি তাঁর। কিছুটা এগিয়ে আসতে বিষয়টি স্পষ্ট হয়, সেই মতো কমিউনিটি সেন্টারকে জানান। 


ইন্দোনেশিয়ার নোনা জলে সবচেয়ে কুমির হামলার ঘটনা ঘটে। গত এক দশকে ১০০০-এরও বেশি কুমির হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানে। মারা গিয়েছেন প্রায় ৪৫০ মানুষ। নোনা জলের কুমির সবচেয়ে বৃহদাকার কুমির। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ কুমিরের দৈর্ঘ্য হয় সাত মিটার। গোটা পৃথিবীতে প্রায় ২ লক্ষ নোনা জলের কুমির রয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। 


 



ইন্দোনেশিয়ায় কুমির সংরক্ষিত প্রজাতির আওতায় পড়ে। তবে হামলার পর কুমিরের পেট কেটে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা আগেও দেখা গিয়েছে। হালিমাকে টেনে নিয়ে যাওয়া কুমিরটি কোন প্রজাতির, তা নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। এর আগে, রবিবারই সুমাত্রার বাংকা দ্বীপে ৬৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তি কুমির হামলায় মারা যান। পর পর হামলার জেরে ২০১৮ সালে স্থানীয় মানুষজন প্রায় ৩০০ কুমির হত্যা করেন।