নয়া দিল্লি: বিয়ের সময় ‘জুতো ছুপাই’ (জুতো লুকানো) রীতিকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ও মারামারির ঘটনা ঘটল। উত্তরাখণ্ডের চাকরাতা থেকে উত্তর প্রদেশের বিজনোরে বিয়ে করতে আসা বর মহম্মদ সাবির ও কনের পরিবারের মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। বরকে একটি ঘরে আটকে রেখে কনের পরিবার লাঠি দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার, বিয়ের এক পর্যায়ে কনের পরিবারের মহিলারা সাবিরের জুতো লুকিয়ে রাখেন এবং তা ফেরত দেওয়ার জন্য ৫০,০০০ টাকা দাবি করেন। সাবির সেই দাবি মেনে না নিয়ে মাত্র ৫,০০০ টাকা দেন। এই নিয়ে কনের পরিবারের মহিলারা তাঁকে ‘ভিখারি’ বলে কটাক্ষ করেন।
এরপর, সাবিরকে ভিক্ষুক বলা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে তর্ক শুরু হয়, যা শীঘ্রই মারামারিতে রূপ নেয়। সাবিরের পরিবারের মতে, কনের পরিবার তাদের একটি ঘরে আটকে রেখে লাঠি দিয়ে মারধর করে। কনের পরিবারের অভিযোগ, সাবিরের পরিবার যখন উপহার হিসেবে পাওয়া সোনার মান সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন তর্কটি মারামারিতে পরিণত হয়।
অন্যদিকে, কনের পরিবারের দাবি—বরের পক্ষ থেকে তাঁদের দেওয়া সোনার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় এবং "তোমরা মেয়ের চেয়ে টাকাকেই বেশি ভালোবাসো"—এই ধরনের মন্তব্য থেকেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে উভয় পক্ষ নাজিবাবাদ থানায় গিয়ে ঘটনার বিবরণ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, দুই পরিবারের মধ্যে মীমাংসা হয়ে গেছে।
নাজিবাবাদ এলাকার এক পুলিশ অফিসার বলেন, “জুতো ছুপাই রীতিকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। পরে তাঁরা থানায় এসে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এবং একটি আপস মিমাংসায় পৌঁছয়।” পুরো বিষয়টি জানার পর দুই পক্ষের মধ্যে একটি মীমাংসা হয়েছে বলে জানান হয়েছে।