নয়াদিল্লি: ভাল অভিনেতা হতে গেলে অবলীলায় মিথ্যে বলার অভ্যাস রপ্ত থাকা জরুরি বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু পেশায় অভিনেতা না হলেও, নিঃসঙ্কোচে, অবলীলায় মিথ্যে বলে যেতে পারেন কিছু মানুষ (Millenials)। কিন্তু বর্তমান দিনে মিথ্যে বলায় সবচেয়ে এগিয়ে কারা, সামনে আনল আন্তর্জাতিক সমীক্ষা। তাতে মিথ্যে বলায় ‘মিলেনিয়ালস’ ই এগিয়ে রয়েছেন। ‘মিলেনিয়ালস’ অর্থাৎ ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে জন্ম যাঁদের। বাড়িতে হোক বা কর্মক্ষেত্রে অথবা সোশ্যাল মিডিয়া, মিথ্যে বলায় এঁদের জুড়ি মেলা ভার বলে জানা গেল। (Viral News)


বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কারা মিথ্যে বলে বেরিয়ে যান, তা দেখতে সমীক্ষা চালানো হয়


আমেরিকার নিউ ইয়র্ক পোস্ট সংবাদপত্র ওই সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে এনেছে। ‘প্লেস্টার’ নামক একটি অনলাইন ক্যাসিনো সংস্থা ওই সমীক্ষা চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কারা মিথ্যে বলে বেরিয়ে যান, তা দেখতে সমীক্ষা চালানো হয়। আমেরিকার কলোরাডো, ইলিনয়, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, পেনসিলভ্যানিয়া, টেনেসি এবং উইসকনসিন্স জুড়ে চালানো হয় সমীক্ষা।


ওই সমীক্ষায় দেখা যায়, মিথ্যে বলায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ‘মিলেনিয়ালস’। অন্তত ১৩ শতাংশ ‘মিলেনিয়ালস’ দিনে অন্তত একবার মিথ্যে বলার কথা স্বীকার করেছেন। দিনে একবার মিথ্যে বলার কথা স্বীকার করেছেন ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারীরা।


আরও পড়ুন: McDonald's: টমেটো কিনতে হাতে ছ্যাঁকা সাধারণের, গুণমানের দোহাই দিয়ে মেনু থেকে বাদ দিল ম্যাকডোনাল্ড’সও


এক্ষেত্রে মিল পাওয়া গিয়েছে ‘Zen Z ’ এবং ‘Zen X’-দের মধ্যে। ‘Zen Z ’ অর্থাৎ যাঁদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। ‘Zen Z ’ হলেন তাঁরা, যাঁরা ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্মেছেন। এই দুই প্রজন্মের ৫ শতাংশ করে মানুষ দিনে একবার অন্তত মিথ্যে বলার কথা স্বীকার করেছেন।


মেয়েদের তুলনায় বেশি মিথ্যে বলেন ছেলেরা, দাবি সমীক্ষায়


চাকরির আবেদন করতে গিয়ে রেজিউমে-তে মিথ্যে দাবির কথা মেনে নিয়েছেন বহু সংখ্যক ‘মিলেনিয়ালস’। অপ্রস্তুতকর পরিস্থিতি এড়াতে কাজের জায়গায় বসের সামনে মিথ্যে বলার কথা স্বীকার করেছেন প্রচি পাঁচ জনের মধ্যে দুই জন ‘মিলেনিয়লস’। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুচ্ছের মিথ্যে বলার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা। তবে এক্ষেত্রে মেয়েদের তুলনায় বেশি মিথ্যে বলেন ছেলেরা। প্রতিদিন মিথ্যে বলাতেও ছেলেরা এগিয়ে বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়।