ভুবনেশ্বর: ১২০ মিনিট। তার মধ্যেই অন্তত ৬১০০০ হাজার বার বজ্রপাত (Lightning Strikes)। অর্থাৎ মিনিটে পাঁচশোরও বেশি। অবিশ্বাস্য হলেও এই ঘটনা ঘটেছে ওড়িশায়। গত শনিবার এভাবেই বারবার চমকেছে ওড়িশার (Odisha) আকাশ। আর এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। জখম হয়েছেন ১৪ জন, জানিয়েছেন ওড়িশার স্পেশাল রিলিফ কমিশনার সত্যব্রত সাহু। যদিও এই বিপদ এখনও রয়েছে, কারণ ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (India Meteorology Department) এখানে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবহাওয়া সংক্রান্ত একাধিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শনিবারের বজ্রপাতে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চার জন খুরদা জেলার। ২ জন বালানগির জেলার এবং আঙ্গুল, বৌধ, ঢেঙ্কানল, গজপতি, জগৎসিংপুর এবং পুরী জেলা থেকে একজন করে রয়েছেন। ওড়িশা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বজ্রপাতের কারণে গজপতি এবং কন্ধমাল জেলায় আটটি গবাদি পশুও মারা গিয়েছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন হয় এমন বজ্রপাত:
দীর্ঘদিন পরে বর্ষা ফিরলে এমন অস্বাভাবিক বজ্রপাত (Lightning Strikes) হয় বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। ঠান্ডা (Cold Air) ও উষ্ণ (Warm Air) বায়ুর সংঘর্ষে এমন ঘন ঘন বজ্রপাত ঘটে।
বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) উপরে এখন ঘূর্ণাবর্ত (Cyclone) রয়েছে, সেটা ক্রমশ নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। তার প্রভাবেই গোটা ওড়িশাজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। IMD-এর বুলেটিন জানাচ্ছে, ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওড়িশার অধিকাংশ জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাংলাতেও বজ্রপাত:
গত শনিবারই পুরুলিয়াতে (Purulia) বজ্রপাতের কারণে ২ জন মারা যান। সে মাসে তুমুল বৃষ্টিপাতের জেরে একদিনে দুপুর থেকে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪। বজ্রপাতে আহত হয়েছিলেন ১ জন। প্রায় প্রতিবছরই মূলত বর্ষাকালে বজ্রপাতের কারণে বহু লোক মারা যান। জখমও হন অনেকে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রের তলদেশেও 'গ্লোবাল ওয়ার্মিং'? রেকর্ড হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে নতুন বিপদসঙ্কেত!