কলকাতা: গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে সারা বিশ্বে তাপমাত্রা বাড়ছে। গত কয়েক দশকে এই হার বেড়েছে রেকর্ড হারে। এরই মধ্যে চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টি নিয়েই এবার নড়েচড়ে বসেছেন। এর প্রভাব যে আগামী দিনে মারাত্মক হতে চলেছে তা নিয়েও সতর্কবার্তা জারি করেছেন। সম্প্রতি একটি গবেষণা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কেবল জলে নয়, স্থলেও বেড়েছে তাপমাত্রা।                                         

  


বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের পৃষ্ঠ থেকে তাপমাত্রার ডেটা স্ট্রিমিংও ট্র্যাক করছেন। তারা দেখতে পেয়েছে যে সমুদ্রে এক ভিন্ন তাপপ্রবাহ চলছে। ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর গবেষকরা নতুন সায়েন্টিফিক মডেলিংয়ের উপর ভিত্তি করে এই আবিষ্কার করেছেন। তাপপ্রবাহের বিস্তারিত গবেষণাটি নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত হয়েছে। 


গবেষণার প্রধান লেখক ডিলন আমায়া জানিয়েছেন, সমুদ্রের মধ্যে উষ্ণ এবং শীতল তাপপ্রবাহ চলে প্রতিনিয়তই। কিন্তু একেবারে তলদেশে হিমশীতল ঠান্ডা থাকার কথা। সেখানেও উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে কিছুটা। ফলে এই তাপমাত্রার হেরফের সমুদ্রে অবস্থিত প্রাণীকূলকে প্রভাবিত করবে। এটি দীর্ঘস্থায়ী হলে আগামী দিনে সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মত বিজ্ঞানীদের।                                                


আরও পড়ুন, অপারেশন রুমকে কেন 'অপারেশন থিয়েটার' বলা হয়? নামের নেপথ্যে রয়েছে এক মজার গল্প 


বিশ্বের তিন ভাগ জল একভাগ স্থল বলেই স্থলভাগের উষ্ণতার প্রায় ৯০ শতাংশ কিন্তু এই সমুদ্রই শুষে নেয়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়েছে অনেকটাই। এর ফলে সমুদ্রের শোষণ ক্ষমতারও ওপরও চাপ বেড়েছে। আগের থেকে অনেকটা বেশি তাপমাত্রা শোষণ করতে হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, গত এক শতাব্দীতে প্রায় ১.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে সমুদ্রের জলের। 


বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সাধারণভাবে সমুদ্রের একদম নীচেরতলার তাপপ্রবাহ এবং সমুদ্রপৃষ্টের তাপপ্রবাহে একই সময়ে বদল ঘটে। গভীর সমুদ্রে আবার তা হয় না। অনেক সময় সমুদ্রপৃষ্টের তাপমাত্রা একরকম থাকে, জলের বেশ গভীরে তা আলাদা হয়। এর উল্টো ঘটনাও ঘটে যখন এল-নিনো চলে।