নয়া দিল্লি: বিয়ে করতে গিয়ে এমন অপমানিত হতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি পাত্র। বিয়ের মঞ্চ থেকেই ফিরতে হয়। মুখে কালি দুই পরিবারেরই। কিন্তু কেন? কী এমন ঘটল? 


বিয়ের জন্য সমস্ত তৈরি! আচার অনুষ্ঠানও প্রায় শেষ। রীতিমতো মিছিল করে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ বরযাত্রীরা। ধুমধাম করে বিয়ে সেরে কনের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা। কিন্তু তা আর হল না। কনে ছাড়া একাই বাড়ি ফিরতে হয় পাত্রকে। 


বিয়ের মালাবদলের সময় কনে জানতে পারেন বর সরকারি চাকরি নয়, বেসরকারি চাকরি করেন। এই শুনে বেজায় চটেন কনে। সাফ জানিয়ে দেন প্রাইভেট চাকরি করে এমন কাউকে বিয়ে করবেন না তিনি। 


এক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ঠিক করার পর তার সঙ্গেই বিয়ে ঠিক করেন পাত্রীপক্ষ। মালা পরানো হয়েছিল এবং অন্যান্য আচারও করা হয়েছিল। সাত পাক ঘোরার সময়  সরকারি চাকরি না থাকায় কনে বরকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে উভয় পক্ষই বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা চললেও কনে রাজি হননি।                                         


এরপর সমাজের কিছু লোক বসে পঞ্চায়েতের আয়োজন করে। যদিও বর কনেকে ছাড়াই বিয়ে ছেড়ে বাড়ির পথে হাঁটা দেন। থানা এলাকার এক গ্রামের বাসিন্দা ছত্তিশগড়ের বলরামপুরের বাসিন্দা এক যুবক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন ওই পাত্রীর বাবা। জায়গা-জমিও আছে। এরপর বিশাল করেই মেয়ের বিয়ের আয়োজন করে। রাত পৌনে একটার দিকে কনে জানতে পারেন যে বর সরকারি নয়, বেসরকারি চাকরি করছেন, তাই তিনি বিয়ে তখনই বন্ধ করে দেন।


আরও পড়ুন, হ্যাঁচকা টানে বরের গলার টাকার মালা চুরি গাড়ির চালকের! এরপর পাত্রের কাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল


যদিও কনেকে বোঝানোর চেষ্টা শুরু করলেও কনে কারও কথাই শোনেনি। এদিকে বিষয়টি বাড়তে দেখে সমাজের লোকজন একত্রিত হয়ে উভয় পক্ষকে বিয়ের জন্য রাজি করানো শুরু করলেও পরে বর ফোনে তার বেতনের স্লিপ ডেকে কনে পক্ষকে দেখান, এতে বেতন বাবদ প্রতি মাসে ১,২০,০০০ টাকা লেখা ছিল। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে