কলকাতা: চিনের হিউনান অঞ্চলের এক তরুণী লী প্রবল মানসিক অবসাদে ভুগছেন। কাজের জায়গায় তাঁর অফিসে সুপারভাইজর অর্থাৎ তাঁর বস খুব বাজেভাবে তাঁকে ধমক দেওয়ার পরেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন তিনি। একেবারে বদলে যান লী (China Woman), খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন। জল খাওয়া, বাথরুম যাওয়া, এমনকী হাঁটাচলাও বন্ধ। কারও সঙ্গেই কথা বলছেন না তিনি। এক মাস আগেই এই ঘটনা (Viral News) ঘটেছে যখন তাঁর টিম লিডার সুপারভাইজর তাঁর মানসিক অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠেন, তাঁকে এমন কিছু কিছু কথা বলেন যে কারণে সম্পূর্ণরূপে তিনি আবেগতাড়িত হয়ে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন।


বিখ্যাত সংবাদসংস্থা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে এই সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। লী-র অবস্থা যখন ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকে, তাঁর শারীরিক কর্মক্ষমতাও কমে আসে। তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়, তিনি মাথার নিচ থেকে বালিশটুকুও সরাতে পারছেন না। যদি কেউ তাঁর মাথা থেকে বালিশ সরিয়ে নেন, তাহলে তাঁর মাথা ঠিক সেভাবেই শূন্যে ঝুলে থাকছে। দেহের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। নিয়ন্ত্রণও হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁকে যে বাথরুমে যেতে হবে, সেটাও মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে প্রিয়জনদের।


তাঁর চিকিৎসক ড. জিয়া দেউহান তাঁর অবস্থা দেখে একে উডেন ফিগার বলে জানিয়েছেন যেখানে কোনও সচলতা নেই, কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। এটি একটি প্রবল মাত্রার অবসাদ। এর কারণে সচলতা বন্ধ, প্রতিক্রিয়াহীনতা, নিয়ন্ত্রণহীনতা, বাস্তব জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। আবেগতাড়িত ট্রমা বা স্ট্রেসের কারণে এই অবসাদ বাড়তে পারে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, আপনার চাকরি যদি অত্যধিক মাত্রায় দাবি জানাতে থাকে, তাহলে সেই চাকরি আপনার ছেড়ে দেওয়া উচিত। কাজের জগতে অপমান, বিদ্রুপের কারণে এই অবসাদ আসতে পারে।


আর এই ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে এই ঘটনায় কমেন্টে লেখেন যে তিনি তাঁর বসের কাজের জন্য নিজেকে কষ্ট দিচ্ছেন। সম্প্রতি একটি সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে ৪.৮ শতাংশ কর্মীই তাদের কাজের জগতে অবসাদে ভোগেন, ৮০ শতাংশ কর্মীকে কাজের জগতে কোনো না কোনো কারণে অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়াও ৬০ শতাংশ কর্মী উদ্বেগে ভুগছেন, ৪০ শতাংশের মধ্যে কঠিন অবসাদের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।


আরও পড়ুন: Jaya Kishori: 'আমি সন্ত বা সাধ্বী নই...', ২ লাখের ব্যাগ নিয়ে ট্রোলড, এবার মুখ খুললেন জয়া কিশোরী