কলকাতা: জল নয়, রুটি বানানোর জন্য ময়দা মাখতেন প্রস্রাব মিশিয়ে। এক-দুদিনও নয়, দীর্ঘ আট বছর ধরে এভাবেই কাজ (Viral Video) করে এসেছেন সেই পরিচারিকা। গাজিয়াবাদের ঘটনা। এক ধনী রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর বাড়িতে এভাবেই দিনের পর দিন রুটি বানিয়ে গৃহকর্ত্রীকে খাইয়ে এসেছেন সেই পরিচারিকা। আর তারপর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়তেই জানা গেল আসল ঘটনা। লুকোনো ক্যামেরায় ধরাও পড়েছে তাঁর কুকর্মের ভিডিয়ো। গাজিয়াবাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে।


পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, সেই পরিচারিকার নাম রীনা, বয়স ৩২ এবং তিনি শান্তি নগর কলোনিতে থাকেন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যখন সেই বাড়ির গৃহকর্ত্রী রুপম লক্ষ্য করেন বাড়ির প্রত্যেকে লিভারের সমস্যা ভুগছেন, অসহনীয় কষ্ট পাচ্ছেন। কিছু একটা গোলযোগ চলছে সন্দেহ করে তিনি সেই পরিচারিকার উপর নজরদারি করা শুরু করেন। রান্নাঘরে সেই পরিচারিকা কী করছেন, কখন কী রান্না করছেন, কীভাবে রাঁধছেন তা নজর রাখতে গোপন ক্যামেরা লাগানো হয়। রুপমের স্বামী নীতীন গৌতম এভাবেই সেই পরিচারিকার একটি ভিডিয়ো তুলে নেন মোবাইল ফোনের ক্যামেরায়। আর সেখানেই দেখা যায় পরিচারিকা তাঁর প্রস্রাব মেশাচ্ছেন রুটির ময়দার সঙ্গে।



সেই পরিবারের অভিযোগ ও জমা করা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ সেই পরিচারিকার উপর এফআইআর দায়ের করেন গত সোমবার। মঙ্গলবার রীনা নামের সেই পরিচারিকাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। ওয়েভ সিটির এসিপি লিপি নাগাইচ তদন্তের বিষয়ে জানান, সেই পরিচারিকাকে জেরা করার সময় তিনি প্রথমে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু তাঁকে সেই ভিডিয়ো দেখানোর পরে নিজের দোষ স্বীকার করতে বাধ্য হন তিনি। সেই পরিচারিকা বলেন যে ছোটখাটো ভুলের জন্য অপমান ও ধমক দেওয়ার অভ্যাস ছিল সেই বাড়ির মালিক ও তাঁর স্ত্রীর। ফলে এই ধমকের বদলা নেওয়ার জন্যই এই কাজ করেছেন তিনি।


পুলিশ জানিয়েছে রীনাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭২ নং ধারায় গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছে। এর কয়েকদিন আগেই একইভাবে খাবারে থুতু মেশানোর ঘটনাও জানা গিয়েছিল কয়েকটি রাজ্যে। আর এই ধরনের পরপর ঘটনাবিধি বিচার করে উত্তরপ্রদেশের সরকার মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে সমস্ত বিক্রেতারা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে খাবারে অখাদ্য মানুষের বর্জ্য ও ক্ষতিকর পদার্থ মেশাচ্ছে তাদের জন্য আলাদা কঠোর আইন প্রণয়ন করা হবে।


আরও পড়ুন: Tree Plantation: বাস্তু অনুযায়ী বাড়িতে এই ১০টি গাছ লাগাতে পারেন, আপনার জন্যই ভালো