নয়া দিল্লি: বাড়ির খাবার সবসময়ই বাড়ির খাবার। এ বিষয়ে কেউই কখনও দ্বিমত প্রকাশ করে না। যাদের পড়াশুনো বা চাকরির জন্য বাইরে থাকতে এবং খাওয়া দাওয়া করতে হয়, তারা জানে সেই কষ্ট। প্রথমত, সবসময় পছন্দসই খাওয়ার পাওয়াও যায় না। আর পেলেও তা অনেকসময় হয় মুখেও তোলা যায় না। কমবেশি অনেকেই এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন কোনও না কোন ও সময়ে। এবার তেমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হল সোশাল মিডিয়ায়। হস্টেলের খাবার কেমন হয়, তা মজা করে দেখাতেই এক ট্যুইটার ইউজার সাক্ষী জৈন এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি পরোটা দেখিয়েছেন ওই মহিলা। যা পরোটা না ফ্লাইং ডিক্স বোঝা যাচ্ছে না, এতটাই শক্ত। পরোটাটিকে মাটিতে মেরে, ছুড়ে কোনওভাবেই কিছু করা যাচ্ছে না। এই পরোটা কীভাবে কেউ খেতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পরোটাটিকে কাঠের টেবিলে ছুড়েও বিকৃতি ঘটাতে পারেননি। পরোটা এমনই এক খাবার, যা অপসন্দ, এমন মানুষ কম আছেন।
পরোটা হবে নরম, তুলতুলে। মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে। অথচ এই পরোটায় এর কোনওটাই নেই। বরং এমন শক্ত যে মাথায় ছুড়ে মারলে আহত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ভিডিওর শেষে ওই মহিলা প্রশ্নই করে ফেললেন যে, কীভাবে এই পরোটা খাওয়া যেতে পারে তা যদি কেউ বলেন।
আরও পড়ুন, সমুদ্রতটে বড় বড় পায়ের ছাপ, ডাইনোসরের না অন্য কোনও দানবীয় প্রাণীর?
এই ভিডিও দেখে অনেকেই হস্টেল জীবনের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। কয়েক হাজার ভিউজ হয়েছে ইতিমধ্যেই। সঙ্গে কমেন্টের বন্যা। সেগুলিও ভারী মজার। এক ট্যুইটার ইউজার বলেছেন, খাওয়ার বদলে এটি আত্মসুরক্ষার কাজে ব্যবহার করুন। অবশ্যই ব্যাগে রাখুন। রাস্তাঘাটে কেউ অসভ্যতামি করলে এই পরোটাই গলায় চালিয়ে দিন। আরেক ইউজার লিখেছেন, বাবারে এতো হাতুরির মতো শক্ত পরোটা। না জানি কত আয়রন আছে এতে। আরেক জন ফিরে গিয়েছেন অতীতে। তিনি কমেন্টে লিখেছেন, 'বোর্ডিং স্কুলে যখন পড়তাম, তখন আমাদের মেসে এই রকম পরোটা দিত।'
এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।