নয়াদিল্লি: রোজকার জীবনে যা কাজে লাগে, ভারতে যা সস্তা, বিদেশ-বিভুঁইয়ে তা মহার্ঘ দামে বিক্রির নজির আগেও পাওয়া গিয়েছে। আরও একবার সামান্য জিনিস আকাশছোঁয়া দামে বিকোতে দেখা গেল। সাধারণ হাওয়াই চপ্পল, যা ভারতে কয়েকশো টাকায় কিনতে পাওয়া যায়, কুয়েতে তা ১ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে সামনে এল। (Viral Video)


কুয়েতের একটি জুতোর দোকান থেকে কিছু ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবিপি আনন্দ সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি যদিও, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, সাধারণ ঘরে পরার হাওয়াই চপ্পল, শৌচাগারে যেতে যে চপ্পল ব্যবহার করি আমরা, ওই দোকানে তারই দাম রাখা হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। 


সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, জুতোর দোকানটি বেশ ঝাঁ চকচকে। তার মধ্যে পরিপাটি করে সারি সারি হাওয়াই চপ্পল সাজানো রয়েছে। এর মঘ্যে নীল ফিতে দেওয়া সাদা একটি চপ্পলের দাম লেখা রয়েছে ৪৫০০ রিয়ালস, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১ লক্ষ টাকা। বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। 



হাওয়াই চপ্পলের এত দাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতীয়রা। সাধারণ হাওয়াই চপ্পল, যা আজকাল বাড়ির বাইরেও সেভাবে পরেন না কেউ, শৌচালয়ে ঢুকতে ব্যবহার করা হয়,তার এত দাম হয় কী করে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।  বিত্তশালীদের নজর কাড়ার জন্যই এত দাম রাখা হয়েছে বলে মত কারও কারও। ভারতে এমন চপ্পল ৬০ টাকায় কিনতে পাওয়া যায় বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। 


বিষয়টি নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়েননি অনেকে। মাতৃ দিবসে মাকে উপহার দেওয়ার জন্য ওই হাওয়াই চপ্পল একেবারে আদর্শ বলে লেখেন এক ব্যক্তি। ওই জুতো পায়ে গলাতেও কাজে লাগবে, আবার ছেলেমেয়েকে শাসন করার ক্ষেত্রে মায়ের হাতের হাতিয়ারও হয়ে উঠবে বলে লেখেন তিনি। ঝাঁ চকচকে দোকান খুলে দিনে-দুপুরে ডাকাতি চলছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।


ওই চপ্পলের দাম ৬০ টাকাও অনেক বেশি, ভারতের বেশি কিছু জায়গায় ২০-৩০ টাকাতেও ওই হাওয়াই চপ্পল কিনতে পাওয়া যায় বলে লেখেন কেউ কেউ। কোন যুক্তিতে এত দাম রাখা হয়েছে, জানতে চেয়ে কৌতূহল প্রকাশ করেছেন অনেকে। যত খরচের হিসেবই দেখানো হোক না কেন, কোনও মতেই হাওয়াই চপ্পলের দাম ১ লক্ষ টাকা হতে পারে না বলে মত তাঁদের।